৪ জুলাই ভোরে ব্যাঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট বিলম্বিত হয় পাইলটের হঠাৎ অসুস্থতার কারণে। উড্ডয়নের ঠিক আগে পাইলট অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে পিটিআই সূত্রে জানা গেছে।
ফ্লাইট AI2414 এর জন্য নির্ধারিত ওই পাইলট মেডিকেল জরুরিতে পড়লে, তাঁর স্থানে অন্য একজন পাইলটকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করে।
এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানান, “০৪ জুলাই ভোরে আমাদের এক পাইলটের হঠাৎ মেডিকেল ইমারজেন্সি দেখা দেয়। ফলে তিনি AI2414 ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারেননি এবং তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।”
মুখপাত্র আরও জানান, পাইলট বর্তমানে স্থিতিশীল আছেন এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। ফ্লাইটটি বিকল্প পাইলট দিয়ে পরিচালিত হয়েছে এবং এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ পাইলট ও তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের অবিলম্বিক অগ্রাধিকার হচ্ছে পাইলট এবং তাঁর পরিবারের সহায়তা করা, যাতে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।”
এর আগে, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল, দিল্লিতে ফ্লাইট ল্যান্ডিংয়ের পর ৩৬ বছর বয়সী এক এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস কো-পাইলট হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ল্যান্ডিংয়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
ওই ঘটনার পর অনেক পাইলট অভিযোগ করেন, কো-পাইলট অতিরিক্ত ক্লান্ত ছিলেন। এ নিয়ে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (DGCA) একটি বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেয়।
১৭ এপ্রিল, ডিজিসিএ মহাপরিচালক ফায়েজ আহমেদ কিদোয়াই এর স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, পূর্ববর্তী সার্কুলার এবং নির্দেশিকা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে সংশোধনের সুপারিশও করা হবে।
এই ঘটনার পর একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে বিমান পরিচালনায় পাইলটদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব এবং তা যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। এয়ার ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার পর আবারও আলোচনায় এসেছে এই বিষয়টি।