দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬ রানের লড়াকু জয়ে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ দল। শনিবার রাতে আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ জানান, প্রথম ম্যাচের বাজে পারফরম্যান্সের পরও দলে ছিল দৃঢ় আত্মবিশ্বাস।
ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, “সেদিন যেভাবে হেরেছিলাম, তা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। তবে আমাদের বিশ্বাস ছিল, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আমরা জানতাম এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে।”
বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ২৪৮ রান করে। শুরুটা ভালো হলেও মাঝের ওভারে ধস নামে। মিরাজ একে ‘মিশ্র পারফরম্যান্স’ বলে উল্লেখ করে জানান, “এমন শুরু পাওয়ার পরও আমরা ৫০ ওভার খেলতে পারিনি। পারভেজ ইমনের আগ্রাসী ইনিংস আর হৃদয়ের ধৈর্যশীল ফিফটি ছিল বড় ইতিবাচক দিক। তবে মাঝের সময়টায় আমরা অনেক উইকেট হারিয়েছি।”
তবে ইনিংসের শেষ দিকে তানজিম হাসান সাকিবের ২১ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংসকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক। “তানজিম যেভাবে খেলেছে, সেটা ছিল অসাধারণ। হাসারাঙ্গার বিপক্ষে তার আগ্রাসন ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ২২০ আর ২৫০ রানের পার্থক্য অনেক।”
বল হাতে স্পিনাররা ছিলেন ম্যাচ জয়ের মূল কারিগর। তানভীর ইসলাম পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা পারফরমার হলেও প্রায় দুই বছর পর একাদশে ফেরা শামীম হোসেনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কাকে আউট করে।
মিরাজ বলেন, “শামীমকে আমি বলেছিলাম, এই পিচে স্পিনারদের মারা সহজ না। সঠিক জায়গায় বল করলে ব্যাটসম্যানদের মেরে ফেলা কঠিন হবে। আমার চিন্তা ছিল, আমরা যদি উইকেট না পাই, তাহলে ম্যাচে টিকে থাকা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি উইকেট ছিল টার্নিং পয়েন্ট, বিশেষ করে মাঝের ওভারে শামীম ও তানভীর যেভাবে চাপ সৃষ্টি করেছিল, সেটাই ছিল ম্যাচের মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত।”
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম দলকে অভিনন্দন জানান এই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জয় পেতে মুখিয়ে আছে টাইগাররা, যেখানে সিরিজ নির্ধারণ হবে।