দক্ষিণ-মধ্য টেক্সাসে গুয়াডালুপে নদীর আকস্মিক প্লাবনে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অল-গার্লস সামার ক্যাম্প ‘মিস্টিক’ থেকে অন্তত ২৩ কিশোরী নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার রাতে এই দুর্ঘটনার পর গভর্নর গ্রেগ অ্যাবটের অনুপস্থিতি ঘিরে রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক জানান, “আমরা ১৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। নিখোঁজ ২৩ জন কিশোরী সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না তারা কোথায় আছে, তারা গাছে আশ্রয় নিতে পারে কিংবা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে পারে।”
কার কাউন্টির শেরিফ ল্যারি লাইথা জানান, মৃতদের মধ্যে শিশু রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে গুয়াডালুপে নদীর পানি মাত্র ৪৫ মিনিটে ২৬ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে কেন গভর্নর অ্যাবট নিজে না এসে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক সাংবাদিকদের সামনে এলেন। রাজ্য সংবিধান অনুযায়ী, গভর্নর রাজ্যের বাইরে থাকলে অথবা দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভারপ্রাপ্ত হন।
তবে গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট কোথায় ছিলেন সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। একাধিক ব্যবহারকারী এক্স (সাবেক টুইটার)-এ মন্তব্য করেছেন, “আমরা জানি না অ্যাবট কোথায়, অথচ পরিস্থিতি গুরুতর। এখন প্রয়োজন ফেডারেল সহায়তা।”
একজন ব্যবহারকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, “টেক্সাসের এই বন্যা নিয়ে মানুষ অবাক, কেন আগে থেকে সতর্কতা ছিল না? ধন্যবাদ ট্রাম্পকে, যিনি আবহাওয়া পূর্বাভাস ও ফেমা ফান্ডিং কমিয়ে দিয়েছিলেন।”
টেক্সাসের সাধারণ মানুষ এখন চায় যেন রাজ্য প্রশাসন দ্রুত ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির (FEMA) সহায়তা চায় এবং নিখোঁজদের সন্ধানে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও নিখোঁজ কিশোরীদের খোঁজ পাওয়া না যাওয়া পর্যন্ত পরিবারের উৎকণ্ঠা শেষ হচ্ছে না। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে প্রশাসনের ওপর চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।