থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন শিনাওয়াত্রাকে ক্যাম্বোডিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনকে ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মঙ্গলবার সাময়িক বরখাস্ত করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
আদালতের সাতজন বিচারকের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “১ জুলাই থেকে পরবর্তী রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্নকে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকতে হবে।”
এই সিদ্ধান্ত আসে এমন এক সময়ে, যখন রক্ষণশীল সিনেটরদের একটি দল তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভার নৈতিকতা ভঙ্গের অভিযোগ তোলে। তারা দাবি করে, সীমান্ত উত্তেজনার সময় পেতংটার্ন একটি ফোনালাপে ক্যাম্বোডিয়ার প্রবীণ রাষ্ট্রনায়ক হুন সেনকে “চাচা” সম্বোধন করেন এবং থাই এক সামরিক কর্মকর্তাকে “প্রতিপক্ষ” বলেন। এই ফোনালাপের অডিও ফাঁস হয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
গত মে মাসে সীমান্তে সংঘর্ষে এক ক্যাম্বোডিয়ান সেনা নিহত হন, যা দীর্ঘদিনের জমি বিরোধকে আরও জটিল করে তোলে। পেতংটার্নের এই আচরণকে “সামরিক অবমূল্যায়ন” এবং “বিদেশি স্বার্থে নতি স্বীকার” হিসেবে দেখছে রক্ষণশীল মহল।
তারা আরও অভিযোগ করছে যে, একজন মন্ত্রীর ক্ষেত্রে সংবিধানে যে “স্বচ্ছতা” এবং “নৈতিক মান” বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, পেতংটার্ন তা লঙ্ঘন করেছেন।
এই ঘটনায় থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পেতংটার্নের স্থানে আপাতত কে দায়িত্ব নেবেন, সে বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। আদালতের চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় রয়েছে।