যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি চীনের প্রতি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কিছু অংশ শিথিল করায় প্রশংসা জানিয়েছে বেইজিং। একইসঙ্গে চীন হুঁশিয়ার করে বলেছে, ব্ল্যাকমেইল বা চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো সমাধানে পৌঁছানো যাবে না।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, লন্ডনে গত মাসে অনুষ্ঠিত আলোচনার ভিত্তিতে উভয় পক্ষ এখন আলোচনায় নির্ধারিত কাঠামো দ্রুত বাস্তবায়নের কাজ করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “যেসব পণ্যের রপ্তানির জন্য লাইসেন্স আবশ্যক, সেগুলোর আবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও কিছু বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে, যার বিস্তারিত চীনকে জানানো হয়েছে।”
বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ কিছুটা হালকা করতে গত মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে চীন আবারও গুরুত্বপূর্ণ রেয়ার আর্থ খনিজ রপ্তানির ঘোষণা দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্র ইথেন গ্যাসের মতো নির্দিষ্ট পণ্যের রপ্তানিতে লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা তুলে নেয় বলে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “লন্ডন কাঠামো কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে এবং আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র এই পথেই এগোবে এবং অতীতের ভুলনীতি সংশোধন করবে।”
এর আগে আলোচনার অংশ হিসেবে উভয় দেশই একে অপরের পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে পরে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ তোলে, চীন রপ্তানি লাইসেন্স প্রদানে বিলম্ব করছে এবং চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।
এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা এখন চীনের সঙ্গে ভালোভাবে চলছি।” তার এমন মন্তব্য কিছুটা আশার ইঙ্গিত দিলেও বেইজিং স্পষ্ট করেছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সমঝোতা সম্ভব নয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক এই শিথিলতা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা প্রশমনে সহায়ক হতে পারে। তবে ভবিষ্যত নির্ভর করবে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ এবং পারস্পরিক আস্থার ওপর।