বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা বৃহস্পতিবার এক মত প্রকাশ করে বলেন, যৌথ উদ্যোগ এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ব্যাপকভাবে বাড়ানো সম্ভব।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (FBCCI) আয়োজিত এক নেটওয়ার্কিং সভায় তারা এসব কথা বলেন। ঢাকায় FBCCI ভবনে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিফ।
ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেন, ওষুধ শিল্প, সার্জিক্যাল যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিকস এবং শিল্প উপাদান খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তোলা যেতে পারে।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২–২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৮২.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৮৩.৯৭ মিলিয়ন ডলার।
এ প্রেক্ষাপটে FBCCI প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন, “বাণিজ্য বহুমুখীকরণ সময়ের দাবি। মোটর ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ছাড়াও শিল্পের মধ্যবর্তী পণ্যে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা।”
তিনি আরও বলেন, “ওষুধ, সার্জিক্যাল পণ্য এবং টেক্সটাইল খাতেও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এ নিয়ে FBCCI ও পাকিস্তান চেম্বার (FPCCI) একসঙ্গে কাজ করবে।”
পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিফ বলেন, “বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের নেটওয়ার্কিং প্রোগ্রাম নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনার পথ খুলে দিতে পারে।”
সভায় উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। ভবিষ্যতে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়িয়ে নতুন খাতগুলোতে বিনিয়োগ ও রপ্তানি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।