কালের কণ্ঠ মাল্টিমিডিয়া বিভাগের প্রথম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করা হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রধান কার্যালয়ে কেক কেটে এ দিনটির সূচনা করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। তরুণদের উদ্দীপনা ও নিরলস পরিশ্রমের প্রশংসা করে বলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি এক ঝাঁক উদ্যমী, কর্মপ্রাণ তরুণ। তাদের হাত ধরেই এক নতুন জাগরণ আসবে। সত্য ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি, আর কালের কণ্ঠের মাল্টিমিডিয়া দল সেই কাজই করছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন রিমন, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু তাহের, প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের গণমাধ্যম উপদেষ্টা আবদুল বারী, সচিব মাসুদুর রহমান মান্না, উপদেষ্টা শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী এবং নিউজ২৪-এর নির্বাহী সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম ফারিদ।
গিয়াস উদ্দিন রিমন বলেন, “সাংবাদিকতা এখন মাল্টিমিডিয়া নির্ভর। গত শতাব্দীতে যেভাবে সাংবাদিকতা বিকশিত হয়েছে, ঠিক তেমনভাবেই আজকের দিনে মাল্টিমিডিয়া হচ্ছে সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ। কালের কণ্ঠ সেই অগ্রযাত্রার পথিকৃৎ।”
কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেন, “দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য কালের কণ্ঠ মাল্টিমিডিয়া একটি বিশ্বাসের নাম। আমরা সত্য এবং তথ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে চলেছি।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নির্বাচনসহ বড় বড় ঘটনাগুলো সামনে রেখে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, গুজব ও সহিংসতার সময়ে পেশাগত সততা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী বলেন, “সত্য ও তথ্যই প্রথম—এই মূলমন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাল্টিমিডিয়া বিভাগ। গত এক বছরে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা পাঠকদের নতুন মাত্রার কনটেন্ট উপহার দিয়েছি। এটি আমাদের সমগ্র টিমের নিবেদিত শ্রমের ফল।”
সবার বক্তব্যে উঠে আসে একটি অভিন্ন বার্তা—তথ্যভিত্তিক, নিরপেক্ষ ও আধুনিক সাংবাদিকতা ছাড়া গণতন্ত্র ও সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। সেই লক্ষ্যে মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে, এমন প্রত্যাশা সকলের।