ইসরায়েল মঙ্গলবার ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছে। হুথি বিদ্রোহীরা একইসঙ্গে ড্রোন হামলারও দাবি করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েলের একাধিক এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে। ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি বিমান বাহিনী সফলভাবে প্রতিহত করেছে।”
এদিকে হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, “ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট লড বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি ‘ফিলিস্তিন ২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, এই হামলার ফলে “উসুর্পকারী জায়নিস্টদের লাখো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যায় এবং বিমানবন্দর কার্যক্রম স্থগিত হয়।”
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, “ইয়েমেনের সঙ্গে তেহরানকে যেভাবে মোকাবেলা করেছি, তেমনভাবে জবাব দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যখন তেহরানের ‘সাপের মাথা’ ভেঙে দিয়েছি, তখন ইয়েমেনের হুথিদের হাতও কেটে ফেলব। যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাত তুলবে, তাদের হাত কাটা হবে।”
গত অক্টোবর মাসে হামাসের ইসরায়েলে আকস্মিক হামলার পর গাজায় শুরু হওয়া যুদ্ধে হুথিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের ওপর বারবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে।
হুথি মুখপাত্র সারে আরও জানান, “ইসরায়েল অধিকৃত এলাকার ইয়াফা, আশকেলন এবং উম্ম আল-রাশরাশে” তাদের ড্রোন হামলা হয়েছে।
গত শনিবারও হুথিরা একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছোড়ার দাবি করেছিল। এটি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে ঘোষিত ২৪ জুনের যুদ্ধবিরতির পর হুথিদের প্রথম হামলা বলে জানা যায়।
হুথিরা গাজায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির সময় তাদের হামলা বন্ধ রেখেছিল। তবে ইসরায়েল ট্রুজ ভাঙার পর থেকে আবার হামলা শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল এরই মধ্যে ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় একাধিক পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব হামলা বন্দর ও সানার বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে পরিচালিত হয়।
এই উত্তেজনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।