Thursday, July 10, 2025
Homeআন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্রে ‘ক্যানিবাল অভিবাসী’ নিয়ে আলোচনায় ট্রাম্প প্রশাসন, বললেন “নিজেকে খেতে শুরু করেছিল”

যুক্তরাষ্ট্রে ‘ক্যানিবাল অভিবাসী’ নিয়ে আলোচনায় ট্রাম্প প্রশাসন, বললেন “নিজেকে খেতে শুরু করেছিল”

ফ্লোরিডার বিতর্কিত ‘অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ’ শিবির পরিদর্শনে গিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোএম

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোএম মঙ্গলবার এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, এক অবৈধ অভিবাসী ‘নিজেকে খেতে শুরু করে’ যখন তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছিল।

নিউইয়র্ক পোস্টের বরাতে জানা যায়, এই চাঞ্চল্যকর বক্তব্যটি দেন তিনি ফ্লোরিডার এভারগ্লেডসে অবস্থিত ‘অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ’ নামক বিতর্কিত অভিবাসন ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শনের সময়। সঙ্গে ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ক্রিস্টি নোএম জানান, এই অভিবাসীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্টরা গ্রেফতার করে বিমানে উঠানোর পর তিনি নিজেই নিজের বাহু খেতে শুরু করেন। ফলে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে জরুরি চিকিৎসা দিতে হয়।

তিনি বলেন, “এই ধরনের বিকৃত মানসিকতার মানুষজনই এখন আমাদের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন তাদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করতে চায়, কারণ এরা এতটাই বিপজ্জনক যে, এখানে থাকার কোনো অধিকারই তাদের নেই।”

‘অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ’ শিবির নিয়ে উদ্বেগ
এ ডিটেনশন সেন্টারটি মিয়ামি থেকে পশ্চিমে অবস্থিত ওচোপির একটি পরিত্যক্ত রানওয়ে এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে। চারদিকে রয়েছে অ্যালিগেটর ও পাইথনে পরিপূর্ণ জলাভূমি। মাত্র আট দিনে নির্মিত এই শিবিরে রয়েছে বারবেড তারে ঘেরা চৌকি ও শতাধিক নিরাপত্তা ক্যামেরা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই ডিটেনশন ক্যাম্পে ব্যাপক সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীকে ধরে রাখা হবে এবং দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে তাদের নিজ নিজ দেশে।

সিএনএনের বিরুদ্ধে আইনি হুমকি
সংবাদ সম্মেলনে নোএম জানান, ‘আইসব্লক’ নামক একটি অ্যাপ নিয়ে প্রতিবেদন করায় সিএনএনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট।

এই অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অভিবাসন সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড ট্র্যাক করতে পারে এবং কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে সহায়তা পায়। নোএম বলেন, “এটি সম্পূর্ণ অবৈধ কার্যকলাপ এবং আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।”

ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকেই অবৈধ অভিবাসন নিয়ে কঠোর অবস্থান ছিল, এবং এই ধরণের মন্তব্য ও অভিযান সেই নীতিরই সম্প্রসারণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

ফ্লোরিডার এই শিবির এবং নোএমের বক্তব্য নিয়ে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছে, এই ধরণের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

RELATED NEWS

Latest News