Thursday, July 3, 2025
Homeআন্তর্জাতিকফ্লোরিডার 'অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ' ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শনে ট্রাম্প, মজায় বললেন 'আলিগেটররাই হবে নিরাপত্তাকর্মী'

ফ্লোরিডার ‘অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ’ ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শনে ট্রাম্প, মজায় বললেন ‘আলিগেটররাই হবে নিরাপত্তাকর্মী’

অবৈধ অভিবাসীদের জন্য নির্মিত শিবিরে হুমকি, কৌতুক আর কাঁটাতারের ঘেরাটোপে শক্ত অবস্থান স্পষ্ট করলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট

ফ্লোরিডার এভারগ্লেডস অঞ্চলে নির্মিত বিতর্কিত ‘অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ’ নামে পরিচিত একটি অভিবাসী ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার তিনি এ পরিদর্শনে যান। সঙ্গে ছিলেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোএম।

মিয়ামি শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত শিবিরটি স্থাপন করা হয়েছে একটি পরিত্যক্ত রানওয়ের ওপর। চারপাশে ঘন জঙ্গল, স্যাঁতসেঁতে জলাভূমি, অ্যালিগেটর ও পাইথনে পরিপূর্ণ এলাকা।

ট্রাম্প পরিদর্শনের সময় বলেন, “খুব শিগগিরই এখানে সবচেয়ে হিংস্র অভিবাসীদের রাখা হবে। যাদের মধ্যে অনেকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক মানুষ।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কাঁটাতারের ঘেরা ভয়ংকর জলাভূমির মাঝে অবস্থান করছি। এখান থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে বিতাড়ন।”

ডিটেনশন সেন্টারের কঠোর ব্যবস্থাপনাই ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন সংক্রান্ত কঠোর নীতির প্রতিচ্ছবি।

পরিদর্শনের সময় ট্রাম্প মজার ছলে বলেন, “আলিগেটররা এখানকার গার্ডের ভূমিকায় থাকবে। এদের বেতন দিতে হয় না। আমি নিজেও এ জঙ্গল পার হওয়ার সাহস করতাম না। ফলে সবাই যেখানে থাকা উচিত, সেখানেই থাকবে।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “আমরা বন্দীদের শেখাব কিভাবে অ্যালিগেটর থেকে দৌড়ে পালাতে হয়।” এরপর জিগজ্যাগ ভঙ্গিতে হাত নাড়িয়ে বলেন, “সোজা দৌড়াবেন না, এভাবে দৌড়াবেন। এতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ১ শতাংশ বাড়বে।”

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানিয়েছেন, শিবিরটি মাত্র আট দিনে নির্মাণ করা হয়েছে এবং বুধবার থেকে বন্দীদের রাখা শুরু হবে।

এই ডিটেনশন সেন্টারে একসঙ্গে তিন হাজার পর্যন্ত বন্দী রাখা যাবে। রয়েছে ২০০-এর বেশি নিরাপত্তা ক্যামেরা, ৮,৫০০ মিটার কাঁটাতারের বেড়া এবং ৪০০ জন নিরাপত্তারক্ষী।

এই উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেমন প্রশংসা আসছে, তেমনি সমালোচনাও রয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ট্রাম্প অবশ্য অভিবাসন ইস্যুতে আগের মতোই কঠোর অবস্থানেই রয়েছেন, আর এই সফরের মাধ্যমে সেটিই আবারও তুলে ধরলেন।

RELATED NEWS

Latest News