Friday, July 4, 2025
Homeরাজনীতিরাষ্ট্রপতির ক্ষমা ও হাইকোর্ট বেঞ্চে আইন প্রণয়ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ও হাইকোর্ট বেঞ্চে আইন প্রণয়ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে ৩০টি রাজনৈতিক দলের সম্মতি, জরুরি অবস্থা নিয়ে আলোচনা স্থগিত

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদান এবং বিভাগীয় শহরে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন সংক্রান্ত বিষয়ে আইন প্রণয়নের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলী রিয়াজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংক্রান্ত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হয়েছেন।

তিনি জানান, সংলাপের দ্বিতীয় পর্বের নবম দিনে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং জরুরি অবস্থা—এই তিনটি বিষয় আলোচনার জন্য নির্ধারিত ছিল।

তবে “জরুরি অবস্থা” বিষয়টি এদিন আলোচনায় আনা হয়নি, পরবর্তী বৈঠকে এটি তোলা হবে বলে জানান আলী রিয়াজ।

বর্তমান সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ক্ষমা দিতে পারেন। তবে এ বিষয়ে কোনো আইন না থাকায় অতীতে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে বলে রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করে।

দলগুলোর প্রস্তাবে বলা হয়, ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতি যেন অপরাধীর ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও তাঁদের পরিবারের মতামত নেন—এমন আইন প্রণয়ন প্রয়োজন।

তবে বিএনপি ও কয়েকটি দল মত প্রকাশ করে যে, খসড়া আইন প্রণয়নের কাজ নির্বাচিত সরকার সম্পন্ন করুক।

ফলে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা কার্যকর করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান করে ছয় সদস্যের বোর্ড গঠনের প্রস্তাবটি নিয়ে ঐকমত্য হয়নি।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে দলগুলো সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধনে সম্মত হয়।

সব দল একমত হয় যে, রাজধানীর বাইরে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করা প্রয়োজন। তবে সুপ্রিম কোর্টের মূল আসন রাজধানীতেই থাকবে।

প্রধান বিচারপতির পরামর্শ অনুযায়ী, এক বা একাধিক বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থাপিত হবে।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের নায়েবে আমির সাইয়েদ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই সংলাপের মাধ্যমে ভবিষ্যতের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে সম্ভাব্য রূপরেখা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

RELATED NEWS

Latest News