জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, প্রথম দফার আলোচনা শেষে যে মতভিন্নতা তৈরি হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতেই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। এই পর্যায়ের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক অবস্থান জানার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার তৃতীয় বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “প্রথম দফায় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের অবস্থান পৃথকভাবে জানিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় তারা একে অপরের অবস্থান সম্পর্কেও জানতে পারছে, মতবিনিময় করছে।” তিনি জানান, দলগুলোর অভিমত শোনা এবং আলোচনার সুযোগ তৈরি হওয়ায় কমিশনের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আজকের আলোচনায় জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রয়োজনীয়তা এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সাংবিধানিক পদে নিয়োগের জন্য একটি নিরপেক্ষ কাঠামোর পক্ষে মত দিয়েছে। যদিও একটি-দুটি দল কিছু নীতিগত পার্থক্যের কথা বলেছে, তবুও অধিকাংশের মতের মিল রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, কমিশনের দুটি প্রস্তাব রয়েছে— একটি হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন, অন্যটি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এই দুটি বিষয়েই ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
আজকের বৈঠকে অংশ নেয় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। এতে সাংবিধানিক সংস্কার বিষয়ে আরও বিস্তারিত মতবিনিময় প্রত্যাশা করা হচ্ছে।