বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং তারা সংসদীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে চায়—এমন মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার রাজধানীর চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘গণজাগরণ ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক যাত্রা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানটি ছিল গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণআন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত। একই সঙ্গে এটি ছিল গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং গত ১৬ বছরে বিভিন্ন আন্দোলনে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মরণে এক শ্রদ্ধার অনুষ্ঠান।
ফখরুল বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বর্তমানে যেসব সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, তার বেশিরভাগই বিএনপির ঘোষিত ভিশন-২০৩০-এ উল্লেখ আছে। অথচ এখন মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, বিএনপি নাকি সংস্কারের বিরুদ্ধে।”
তিনি আরও বলেন, “বাস্তবে বিএনপি প্রস্তাবিত অধিকাংশ সংস্কারের সঙ্গেই একমত। সরকার যদি সত্যিই আন্তরিক হয়, তাহলে তারা জানাক কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবে বিএনপির সম্মতি রয়েছে আর কোনগুলোতে নেই। এ দায়িত্ব সরকারের।”
সংলাপ, ঐক্য ও নির্বাচনের প্রশ্নে আপোষহীন অবস্থান তুলে ধরে ফখরুল বলেন, “গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে আমরা কোনো আপোষ করব না।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মী, পেশাজীবী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুলের এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল ও সংস্কারমূলক অবস্থান নিয়ে নানা ব্যাখ্যা উঠে আসছে বিশ্লেষকদের মধ্যেও।