হলিউডের বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’-এর নতুন ছবি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ মুক্তির পর রটেন টমেটোতে পেয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ৫৬ শতাংশ রেটিং পাওয়া এই সিনেমাটিতে স্কারলেট জোহানসন ও জনাথন বেইলি অভিনয় করেছেন মূল ভূমিকায়।
ডাইনোসরের ফিরে আসা ও নতুন গল্প
গ্যারেথ এডওয়ার্ডস পরিচালিত ও ডেভিড কোয়েপ রচিত এই সিনেমার গল্প সাজানো হয়েছে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডোমিনিয়ন’-এর পাঁচ বছর পরের সময়কে ঘিরে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ডাইনোসরেরা এখন বাস করছে বিষুবরেখা অঞ্চলে। এক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি তিনটি দুঃসাধ্য প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর ডিএনএ সংগ্রহ করতে চায় হৃদরোগের ওষুধ তৈরির জন্য। এদের মধ্যে রয়েছে মোসাসরাস, কুয়েটজালকোয়াটলাস এবং টাইটানোসরাস।
এই অভিযানের দায়িত্ব পড়ে স্কারলেট জোহানসন ও মাহারশালা আলির ওপর, যারা একদল এক্সট্র্যাকশন বিশেষজ্ঞ। কিন্তু সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায় যখন একটি পরিবার হঠাৎ দুর্ঘটনাবশত তাদের মিশনে জড়িয়ে পড়ে।
অভিনয় ও চিত্রনাট্যে বৈচিত্র্য
সিনেমাটিতে আরও আছেন রুপার্ট ফ্রেন্ড একজন চতুর ভিলেন হিসেবে এবং জনাথন বেইলি একজন জীবাশ্মবিজ্ঞানী হিসেবে। প্রতিটি চরিত্রই গল্পে আলাদা রকম মাত্রা এনেছে। ভিজ্যুয়াল দিক থেকে সিনেমাটি বেশ সমৃদ্ধ। উপকূলীয় দৃশ্য, পাহাড়ি নামা, পানির নিচের লড়াই—সবকিছুতেই চিত্রগ্রাহক জন ম্যাথিয়েসনের কাজ চোখে পড়ার মতো।
নস্টালজিয়া ও প্রশংসিত মুহূর্ত
ভ্যারাইটি জানিয়েছে, সিনেমাটিতে ইন্ডিয়ানা জোনস, জস এবং স্টার ওয়ার্সের মতো ক্লাসিকদের প্রতি সম্মান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে একটি দৃশ্যে মূল ‘জুরাসিক পার্ক’-এর বিখ্যাত রান্নাঘরের র্যাপ্টর দৃশ্যের রেফারেন্স পাওয়া যায়, তবে এবার সেটি একটি আধুনিক কনভিনিয়েন্স স্টোরে।
একটি দৃশ্যে দেখা যায়, একটি ঘুমন্ত টি-রেক্স নদীর ধারে শুয়ে আছে, আরেকটি দৃশ্যে মোসাসরাস পানির মধ্যে লাফিয়ে ঘুরছে। সবচেয়ে আবেগপ্রবণ মুহূর্তটি আসে যখন দুটি টাইটানোসরাস ঘাড় জড়িয়ে ধরে, আর জন উইলিয়ামসের বিখ্যাত স্কোর বাজতে থাকে।
যদিও সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নতুন মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা চোখে পড়ে। নতুন গল্প, শক্তিশালী ভিজ্যুয়াল আর নস্টালজিক মুহূর্ত মিলে এটি একপ্রকার ‘হেইস্ট-ভিত্তিক সার্ভাইভাল থ্রিলার’। ভক্তদের জন্য এটি হতে পারে একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতা।