নিরাপত্তা শঙ্কায় বিদেশি খেলোয়াড়দের আপত্তি; দুই দেশের ঘরোয়া লিগে বড় ধরনের প্রভাব
পাকিস্তান–ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়া অঙ্গনে। নিরাপত্তা ঝুঁকি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের উদ্বেগের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে চলতি আইপিএল। অন্যদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এর বাকি আটটি ম্যাচ আরব আমিরাতে আয়োজন করা হবে।
শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই এই সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, ভারত সরকারের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত এসেছে। এর আগে ধর্মশালায় দিল্লি ও পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচটি স্থগিত করা হয়। নিরাপত্তা ইস্যুতে দর্শকদের স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং দুই দলের খেলোয়াড় ও কর্মীদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়ে ব্যবহৃত হয় বিশেষ ট্রেন।
বিশ্ব গণমাধ্যমে ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে, আইপিএল খেলতে ভারতে অবস্থান নিরাপদ নয় বলে মনে করছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। অনেকেই দ্রুত নিজ নিজ দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে ড্রোন হামলার ঘটনায় পিএসএলের একটি ম্যাচ স্থগিত করা হয়। এরপরেই পিসিবি বিদেশি ক্রিকেটারদের মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়—টুর্নামেন্টের বাকি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তর করা হবে। নতুন সূচি শিগগিরই জানানো হবে বলে নিশ্চিত করেছে পিসিবি।
এই সিদ্ধান্তগুলো কেবল দুই দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি নয়, একইসঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনে এর ব্যাপক প্রভাবও তুলে ধরেছে।