আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চলমান থাকা পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ; সংশোধিত আইনে দলীয় শাস্তির বিধান
গত বছরের জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার রাতে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, এবং আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে দলীয় পর্যায়ে শাস্তি কার্যকরের সুযোগও সৃষ্টি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-সহ একাধিক দল ও সংগঠন গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আসছে। এনসিপির দাবি ছিল, আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত সহিংসতার বিচার এবং তার দায়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিষিদ্ধকরণ।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।