Monday, November 10, 2025
Homeআন্তর্জাতিকগাজার যুদ্ধবিরতিতে নতুন আশার আলো, ট্রাম্পের উদ্যোগে হামাসের ইতিবাচক সাড়া

গাজার যুদ্ধবিরতিতে নতুন আশার আলো, ট্রাম্পের উদ্যোগে হামাসের ইতিবাচক সাড়া

দুই বছরের বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টায় আশাবাদী গাজাবাসী

দুই বছরের বিধ্বংসী যুদ্ধের পর অবসানের আশায় বুক বাঁধছে গাজার মানুষ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শান্তি উদ্যোগ ও হামাসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফিলিস্তিনিদের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

হামাস শুক্রবার জানায়, তারা যুদ্ধবন্দি বিনিময় এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনার কয়েকটি শর্তে রাজি। সংগঠনটি আরও বলেছে, বাকি ইস্যুগুলোতে আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত।

৩২ বছর বয়সী সাউদ কারনেইতা বলেন, “এটা সুখবর। যারা এখনো বেঁচে আছে, তাদের জন্য এটা জীবন বাঁচানোর মতো। দুই বছর ধরে ঘরবাড়ি, পরিবার, সব কিছু ধ্বংস হয়েছে। এখন আর কিছুই বাকি নেই।”

৪০ বছর বয়সী ইসমাইল জায়েদা, যিনি গাজা শহরের উত্তরাংশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, বলেন, “আমরা চাই ট্রাম্প চাপ বজায় রাখুক। এই সুযোগ হারালে গাজা শহর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।”

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় পূর্ণমাত্রার অভিযান শুরু করে। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে আটক করা হয়। পাল্টা অভিযানে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

আরো পড়ুন: গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় আংশিক সম্মতি হামাসের

গাজা শহরের এক আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ৫৯ বছর বয়সী আলি আহমেদ বলেন, “আল্লাহর কৃপায় এটা যদি শেষ যুদ্ধ হয়, আমরা আর যুদ্ধ দেখতে চাই না।”

জাতিসংঘের তদন্ত কমিশনসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলাগুলো গণহত্যার শামিল। ইসরায়েলি সরকার অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, তারা আত্মরক্ষার্থে অভিযান চালাচ্ছে।

গাজার ব্যবসায়ী তামের আল-বুরাই বলেন, “প্রতিদিন দেরি মানে আরও প্রাণহানি। এখনই যুদ্ধ থামাতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আগের যুদ্ধবিরতিগুলো টেকেনি, কিন্তু এবার আমি আশাবাদী। হয়তো ট্রাম্প এবার সত্যি শান্তি আনতে পারবেন।”

আরো পড়ুন | গাজা যুদ্ধের অবসান চুক্তির পথে, হামাস বন্দি বিনিময়ে রাজি: আশাবাদী নেতানিয়াহু

যদিও গাজার কিছু মানুষ এখনো সন্দিহান। ৩১ বছর বয়সী আয়্যা বলেন, “আমরা হয়তো ট্রাম্পকে বিশ্বাস করতে পারি, কিন্তু নেতানিয়াহু কি মানবেন? তিনি আগে সব চুক্তি ভেঙেছেন। আশা করি এবার তিনি যুদ্ধ শেষ করবেন।”

গাজায় ইসরায়েলি সেনারা নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে যে, গাজা শহর এখনো “সংঘর্ষপূর্ণ এলাকা” এবং সেখান থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

দুই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এখন ফিলিস্তিনিরা শুধু একটি কথাই বলছে — “যুদ্ধ শেষ হোক।”

RELATED NEWS

Latest News