ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ মঙ্গলবার উদযাপন করছে তার ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের এই প্রধান উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০৫তম বছরে পা রাখল “বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে।
এ উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভাইস-চ্যান্সেলরের ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন এবং টিএসসি প্রাঙ্গণকে সাজানো হয়েছে রঙিন আলোকসজ্জায়।
উদযাপন শুরু হয় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে স্মৃতি চিরন্তন চত্বর থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে। এতে অংশ নেন বিভিন্ন হল, ইনস্টিটিউট ও বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। শোভাযাত্রাটি সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সকাল ১০টায় পায়রা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় মূল অনুষ্ঠান। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ১০৫ পাউন্ড কেক কাটা, এবং সংগীত বিভাগের দেশপ্রেমমূলক পরিবেশনা দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ১,০০০ ক্যাপ বিতরণ করে এবং পুরো আয়োজনের সহযোগিতায় অংশ নেয়।
টিএসসি মিলনায়তনে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে প্রতিপাদ্যভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়জ।
সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। উপস্থিত ছিলেন প্রশাসন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা, শিক্ষা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বিশেষ স্মারক প্রকাশ করা হয়।
উদযাপন উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখা হলেও পরীক্ষা নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেবল জ্ঞানের আলো ছড়ানো স্থান নয়, এটি সামাজিক আন্দোলনের জন্মভূমি। আজকের দিনে আমরা বৈষম্যহীন ও ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।”