বরিশালে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জাপার বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক ও মামলার বাদী অ্যাডভোকেট এম এ জলিল জানান, গত ৩১ মে রাতে বরিশাল শহরের ফকিরবাড়ি রোডে অবস্থিত জাপা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা।
মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে করা হয়েছে এবং এতে নুর ও রাশেদ খানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এম এ জলিল বলেন, “ঘটনার পর আমরা থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আমরা আদালতে লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। বৃহস্পতিবার আদালত কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।”
তিনি আরও জানান, “সকাল ১১টার দিকে আদালতের নির্দেশসহ অভিযোগ থানায় পাঠানো হয় এবং ডিউটি অফিসার এসআই ডলি তা গ্রহণ করেন।”
এ মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে বরিশাল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এইচ এম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হাসান, নগর সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ ২৫ জন নামীয় এবং ৭০ থেকে ৮০ জন অজ্ঞাতনামা নেতা-কর্মীকে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বরিশাল মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, “আমরা এখনো আদালতে কোনো মামলার বিষয়ে অবগত নই। তবে যদি এমন কোনো মামলা হয়ে থাকে, তাহলে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় তা মোকাবেলা করব।”
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “এখনো আমাদের কাছে আদালত থেকে কোনো কাগজ আসেনি। তবে ডিউটি অফিসার যদি গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে সেটি আমাদের কাছে আসবে।”
ঘটনার তদন্ত ও মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে বরিশালজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মামলাটির অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি এখন পুলিশের পদক্ষেপের দিকে।