জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ শুক্রবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগে দলটির দুটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্ত দুটি হলো—গত বছরের রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্র সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন।
ঠাকুরগাঁওয়ে “জুলাই মার্চ” কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এক সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
হাসনাত বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হতে হবে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে যেমনভাবে অনেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করছেন, তেমনি আমরা চাই রাষ্ট্র সংস্কার এবং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করেই নির্বাচন হোক।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে গিয়ে গত বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নির্যাতিতদের খবর নিচ্ছি। এই কর্মসূচির লক্ষ্যই হলো ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং বিচার দাবি তোলা।”
একজন সাংবাদিক জানতে চান, কিছু এনসিপি নেতার বক্তব্যে উল্লেখ থাকা ‘জাতীয়তাবাদী ঐক্য শক্তি’ এবং ‘তার বিপরীতে থাকা শক্তি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে।
জবাবে হাসনাত বলেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব তাদের সঙ্গেই যারা সব ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির সহাবস্থানে বিশ্বাসী। যারা বাংলাদেশের ভৌগোলিক সংহতি ও সার্বভৌমত্বে আস্থা রাখে।”
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “যারা ব্যক্তিগত স্বার্থে, অবৈধ অর্থ হাতানোর লোভে দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িতদের কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।”
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “জুলাই মার্চ” কর্মসূচি চলমান থাকবে এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও নির্যাতিতদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েই তারা মাঠে থাকবে।