Tuesday, July 1, 2025
Homeআন্তর্জাতিকচীন ও পাকিস্তানের নতুন আঞ্চলিক সংগঠনের উদ্যোগ, SAARC-এর বিকল্প গঠনে আলোচনায় বাংলাদেশ

চীন ও পাকিস্তানের নতুন আঞ্চলিক সংগঠনের উদ্যোগ, SAARC-এর বিকল্প গঠনে আলোচনায় বাংলাদেশ

কুনমিং বৈঠকে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে যুক্ত করার পরিকল্পনা, ভারতের সাড়া নিয়ে অনিশ্চয়তা

দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে নতুন এক আঞ্চলিক সংস্থা গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে চীন ও পাকিস্তান, যা দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (SAARC)-এর বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার অগ্রগতি ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আঞ্চলিক সংহতি ও যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।

সম্প্রতি চীনের কুনমিং শহরে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকরা অংশ নেন। এটি ছিল এই ধরণের প্রথম বৈঠক, যা ভারতের কূটনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দেয়।

বৈঠকে SAARC-এর সদস্যভুক্ত অন্যান্য দেশগুলোকে নতুন প্রস্তাবিত ফোরামে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

তবে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাদের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত বলে মনে করছেন কূটনৈতিকরা। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ একাধিক দেশ নতুন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনায় রয়েছে।

নতুন সংগঠনের মূল লক্ষ্য হবে বাণিজ্য ও আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার করা। এই উদ্যোগ সফল হলে দক্ষিণ এশিয়ার ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ হিসেবে পরিচিত SAARC কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়বে বলে পর্যবেক্ষকদের মত।

২০১৬ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিতব্য SAARC সম্মেলন ভারত বর্জন করে এবং সে সময়কার বাংলাদেশ সরকারও একই পথ অনুসরণ করে। এরপর থেকে সংগঠনটির কার্যক্রমে আর তেমন গতি দেখা যায়নি।

সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে SAARC-এর আওতায় পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল করার সিদ্ধান্তে সংস্থাটির কার্যকারিতা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

অন্যদিকে, ভারত শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর সাম্প্রতিক দুটি সম্মেলন এড়িয়ে চলে, যা তাদের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর প্রতি আগ্রহের অভাবকেই স্পষ্ট করে।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারত তার ভিন্নমতপূর্ণ অবস্থানের কারণে এসব আঞ্চলিক ফোরামে একঘরে হয়ে পড়ছে।

চীন ও পাকিস্তান একযোগে নতুন এই উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের বিশ্বাস, মনোভাব ও স্বার্থের মিল আছে এমন দেশগুলো একত্রিত হলে এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হতে পারে।

RELATED NEWS

Latest News