Thursday, July 3, 2025
Homeজাতীয়গুজব রুখতে জাতিসংঘের কার্যকর পদক্ষেপ চান প্রধান উপদেষ্টা

গুজব রুখতে জাতিসংঘের কার্যকর পদক্ষেপ চান প্রধান উপদেষ্টা

জাতিসংঘ ও ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতে তথ্য বিভ্রান্তি মোকাবিলায় স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার তাগিদ

তথ্য বিভ্রান্তি ও গুজব মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ এবং ইউনেস্কোর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সেকশনের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনশেলাহর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় ‘An Assessment of Bangladesh’s Media Landscape: Focusing on Free, Independent and Pluralistic Media’ শীর্ষক এক যৌথ রিপোর্ট প্রকাশের আগ মুহূর্তে। রিপোর্টটি প্রস্তুত করেছে ইউএনডিপি এবং ইউনেস্কো।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের প্রধান সমস্যা গুজব ও ভুয়া তথ্য। অনেক সময় দেশের বাইরের লোকজন এবং কিছু স্থানীয় ব্যক্তিও এসব ছড়াচ্ছে। এটি যেন এক ধরনের লাগাতার বোমাবর্ষণ।”

তিনি বলেন, “শুধু ডিজিটাল মাধ্যম নয়, মূলধারার গণমাধ্যম থেকেও অনেক সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য আসে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের আরও সক্রিয় ভূমিকা দরকার।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “আপনারা শুধু সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন না, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলুন। যদি কেউ নিরবচ্ছিন্নভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ায়, তবে তা বন্ধ করতে স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ দরকার।”

তিনি জাতিসংঘকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনারা জাতিসংঘ, আপনাদের কথা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন।”

ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ জানান, বৃহস্পতিবার প্রকাশিতব্য রিপোর্টে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সাংবাদিকতা চর্চার আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, “এই রিপোর্টে দেখানো হয়েছে কোনটি কাজ করছে, কোনটি করছে না। আইনপ্রণেতা, পুলিশ ও বিচার বিভাগের সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়েছে।”

ইউনেস্কোর সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনশেলাহ বলেন, রিপোর্টে নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ নিয়েও সুপারিশ রাখা হয়েছে, যা বৈশ্বিক পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ এক ইস্যু।

তিনি আরও বলেন, সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ এই ক্ষেত্রগুলোতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ইউএনডিপির ‘Strengthening Institutions, Policies and Services (SIPS)’ প্রকল্পের অধীনে এবং ইউনেস্কোর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম উন্নয়ন সংক্রান্ত ম্যান্ডেটের আলোকে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এমন আহ্বান বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থায় নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে।

RELATED NEWS

Latest News