বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ ২–২ গোলে ড্র হওয়ার ফলে গ্রুপ ‘সি’–এর শীর্ষ দল হিসেবে বাংলাদেশের কোয়ালিফাই নিশ্চিত হয়।
এর আগে, স্বাগতিক মায়ানমারকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে বড় এক চমক দেখায় বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে দুই গোল করেন ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা। প্রথম গোলটি আসে ২০ মিনিটে এবং দ্বিতীয়টি ৭১ মিনিটে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ফিফা র্যাংকিংয়ে মায়ানমার বাংলাদেশের চেয়ে ৭৩ ধাপ ওপরে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭–০ গোলে বিধ্বস্ত করে দারুণ সূচনা করেছিল।
দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান গ্রুপের শীর্ষে। মায়ানমার রয়েছে তিন পয়েন্টে, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান এক পয়েন্ট করে পেয়েছে।
গ্রুপে সব দলের বিপক্ষে জয় পাওয়ায় বাংলাদেশের হেড-টু-হেড ব্যবধানও ইতিবাচক। তাই গ্রুপের শেষ ম্যাচে ফল যাই হোক না কেন, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশই যাচ্ছে এশিয়ান কাপে।
বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলারের অধীনে এই সাফল্য এসেছে। মাঠের পারফরম্যান্স ও কৌশলে স্পষ্ট উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।
আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এএফসি নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ নারী দলের এই অংশগ্রহণ দেশের ফুটবল ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
এর আগে পুরুষ দল মাত্র একবার, ১৯৮০ সালে, এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণ করেছিল। এবার নারী দলও সেই তালিকায় যুক্ত হলো।
দেশজুড়ে এই অর্জন উদ্যাপন করছে ক্রীড়ামহল ও সাধারণ মানুষ। ফুটবল বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সাফল্য নারীদের ফুটবলে নতুন যুগের সূচনা করবে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বলেছে, দলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও শক্তিশালী করতে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
এখন নজর আগামী বছরের মূলপর্বে, যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে এশিয়ার সেরা দলগুলো। তবে আত্মবিশ্বাসী ঋতুপর্ণারা প্রমাণ করে দিয়েছেন, তাঁরা লড়াই করতে প্রস্তুত।