Monday, July 7, 2025
Homeজাতীয়গণপিটুনি নিন্দনীয়, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের

গণপিটুনি নিন্দনীয়, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ দল, ICT দণ্ডিতরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, বললেন আসাদুজ্জামান

গণপিটুনি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি জুলাই আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। শনিবার রাজধানীর বিএফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত “শ্যাডো পার্লামেন্ট” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “সম্প্রতি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদার ওপর হামলার মতো ঘটনা গণতান্ত্রিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। দোষীদের জবাবদিহিতা প্রয়োজন, তবে তা আইনের মাধ্যমে, কোনোভাবেই জনরোষে নয়।”

আসাদুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। একইসঙ্গে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনের সদস্য, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, তারাও আইনের আওতায় আসবে।

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে। অতীত সরকারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, আইনজীবী ও সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল।”

রাজনৈতিক মতপার্থক্য নিরসনে সংলাপ সম্ভব হলেও ফ্যাসিবাদের ক্ষেত্রে কোনো আপস নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা সবাইকে একত্রিত হয়ে ফ্যাসিবাদ রোধ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, “জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডগুলোতে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন ছিল। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যে নির্যাতন চালিয়েছে, তা ক্ষমাযোগ্য নয়।”

তিনি শেখ হাসিনাকে ‘ফ্যাসিবাদের গডমাদার’ ও ‘স্বৈরাচারের দূত’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে তিনিই দ্বিতীয় নেতা যিনি গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।”

কিরণ বলেন, “শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা নেই। জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকলে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই নির্বাচনের অযোগ্য হতে পারেন।”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়েও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। জুলাই আমাদের মুক্তিযোত্তর ইতিহাসে এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। এই চেতনার ধারকরা যেন একত্রিত থাকেন, যেন আর কোনো ফ্যাসিবাদ মাথা তুলতে না পারে।”

তিনি স্বীকার করেন, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি-সহ বিরোধী দলগুলোর মধ্যে কিছু মতপার্থক্য থাকলেও, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের বাইরে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হলে আবার কোনো স্বৈরাচার ফিরতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে “জুলাই আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের ভূমিকাই সরকারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ” শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়।

RELATED NEWS

Latest News