বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাইক্লিং প্রতিযোগিতা ট্যুর দে ফ্রান্স ২০২৫ শুরু হচ্ছে এই শনিবার, ফ্রান্সের লিলে শহর থেকে।
তিন সপ্তাহব্যাপী এই রেসে যেমন তাদেজ পগাচারকে নিয়ে প্রত্যাশা তুঙ্গে, তেমনি আয়োজকরা আশাবাদী এবারের বৈচিত্র্যময় রুট প্রতিযোগিতাকে করে তুলবে আরও উত্তেজনাপূর্ণ।
প্রতিযোগিতার পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান প্রুধোম বলেন, “আগে আমরা চাইতাম প্রথম সপ্তাহটা যেন তাড়াতাড়ি পার হয়ে যায়। এবার উল্টোটা। যারা ভাবছে প্রথম সপ্তাহটা সহজ, তারা ভুল করছে।”
তিনি জানান, ৭ নম্বর স্টেজের মুর দে ব্রেতান আসলে একদিনের রেসের মতো করেই ডিজাইন করা হয়েছে।
প্রুধোম বলেন, “রুট ডিজাইনার থিয়েরি গুভেনো দারুণ কাজ করেছেন। সংকীর্ণ ও ঘুরানো রাস্তা, হাওয়াপ্রবণ অঞ্চল—সবকিছু মিলিয়ে রুটে রয়েছে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল চ্যালেঞ্জ।”
২৬ বছর বয়সী পগাচার গত আসরে ছয়টি স্টেজ জিতেই শিরোপা নিশ্চিত করেন। এ বছর তিনি আরও শক্তিশালী বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে প্রুধোম বলছেন, “প্রথম সপ্তাহটা হবে সম্ভবত সাম্প্রতিক বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটাই পগাচারকে ব্যাকফুটে নেওয়ার সুযোগ।”
প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে থাকায় আয়োজকরা চান, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক টানটান এবং বিজয় নির্ধারিত হোক শেষ মুহূর্তে।
“আমরা চাই কেউ তাকে চ্যালেঞ্জ করুক—চাই সেটা জোনাস ভিনগেগার্ড হোক কিংবা রেমকো ইভেনেপোল বা অন্য কেউ। আমরা চাচ্ছি একদম শেষ পর্যন্ত উত্তেজনা থাকুক,” যোগ করেন প্রুধোম।
এই বছর প্রতিযোগিতার রুট রাখা হয়েছে ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডে। লিলে শুরু হয়ে প্রথম সপ্তাহেই রয়েছে উত্তর উপকূলের ডানকার্ক, সময় পরিমাপের জন্য কা শহর—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো।
বেলজিয়ান তারকা রেমকো ইভেনেপোল বলেন, “প্রথম ১০ দিনটা ঝুঁকিপূর্ণ। শান্তভাবে কাটিয়ে দেওয়া জরুরি।”
তবে তিনি বলেন, প্রকৃত চ্যালেঞ্জ শুরু হবে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে, যখন রেস প্রবেশ করবে পিরেনিস পর্বতমালায়।
পর্বত চড়াইয়ের প্রথম স্বাদ মিলবে স্টেজ ১০-এ, পুই দো ডোম অঞ্চলের আগ্নেয়গিরি এলাকায়। এরপর পিরেনিস ও শেষে আলপসের ভয়ঙ্কর চড়াইগুলো নিশ্চিত করবে ট্যুর দে ফ্রান্স ২০২৫-এর শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
বিশ্বজুড়ে কোটি দর্শকের চোখ থাকবে এবারের ট্যুরে। পগাচার যদি জিততে পারেন, এটি হবে তার টানা তৃতীয় শিরোপা। তবে তার প্রতিপক্ষরাও প্রস্তুত চমক দেখাতে। এখন অপেক্ষা শুধু শুরুর ঘণ্টার।