বাংলাদেশের সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারে মেরিন স্পেশাল ডেটা ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (এমএসডিআই) প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদ্যুপুই।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘ব্লু টক’ সেমিনারে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যদি পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইট ব্যবস্থাপনা শুরু করে, তাহলে জাতীয় পর্যায়ে এমএসডিআই প্রতিষ্ঠা সময়োপযোগী ও উপকারী হবে। এটি দেশের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের (EEZ) কার্যকর পর্যবেক্ষণে সহায়ক হবে।”
ফ্রান্সের দূতাবাস ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (IQAC) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে নীতি-নির্ধারক, গবেষক, হাইড্রোগ্রাফার ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, এমএসডিআইয়ের মাধ্যমে স্যাটেলাইট ও সামুদ্রিক তথ্যসমূহ স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ও একত্রিত করা সম্ভব হবে। এতে তথ্যপ্রযুক্তি, মৎস্য, পরিবেশ ও সমুদ্র নিরাপত্তা খাতে বাস্তবভিত্তিক ব্যবহার সহজ হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি ড. শামীম উদ্দিন খান ও বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি রিয়ার অ্যাডমিরাল খালেদ ইকবাল।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. টোনিয়া ক্যাপুয়ানো (Expertise France), কমোডর শেখ ফিরোজ আহমেদ (বাংলাদেশ নৌবাহিনী) এবং শ্রীলঙ্কা ও ইতালির আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
রাষ্ট্রদূত মাসদ্যুপুই বলেন, “সমুদ্র রক্ষা ফ্রান্সের অঙ্গীকারের অন্যতম। এর একটি বাস্তব পদক্ষেপ হলো সুশাসনের উন্নয়ন, যা BBNJ চুক্তিতে প্রতিফলিত হয়েছে।”
তিনি জানান, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরেই BBNJ চুক্তি অনুমোদন করেছে, যা ফ্রান্স অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ব্লু টকের নভেম্বর ২০২৪ সংস্করণে ব্লু ইকোনমি ও এপ্রিল ২০২৫ এ স্যাটেলাইট ডেটা অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।