সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা মঙ্গলবার আদালতে স্বীকার করেছেন যে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল পরিকল্পিত ও প্রহসনমূলক।
তিনি এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে, একটি মামলার শুনানির সময়। মামলাটি তার বিরুদ্ধে নির্বাচন অনিয়ম ও পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকায় দায়ের করা হয়।
এর আগে ২৭ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আউলাদ হোসেন মোহাম্মদ জুনায়েদ তাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
২২ জুন রাতেই রাজধানীর উত্তরা এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আরও আসামি ছিলেন সাবেক দুই সিইসি, অপসারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও কয়েকজন।
মামলাটি দায়ের করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খান। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে শেরেবাংলা নগর থানায় এটি দাখিল করেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় কেএম নূরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক, সহিংসতা এবং ভোটগ্রহণের আগে রাতেই ব্যালট বাক্স পূরণের অভিযোগ ওঠে, যা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।
সাম্প্রতিক আদালত কার্যক্রমে নূরুল হুদার স্বীকারোক্তি নতুন করে সেই বিতর্ক উসকে দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই জবানবন্দির পর রাষ্ট্রীয় নির্বাচন ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে মূল্যায়নের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।