‘এলিও’ ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের পর এবার পিনোকিওর কণ্ঠে শোনা যাবে ইয়োনাস কিবরেয়াবকে। ১৩ বছর বয়সী এই তরুণ অভিনেতা শুধু কণ্ঠই দিচ্ছেন না, একইসঙ্গে নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্বও পালন করছেন ‘Pinocchio & the Water of Life’ ছবিতে।
স্টিমপাংক ঘরানায় নির্মিত এই অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রটি ক্লাসিক পিনোকিও কাহিনির এক নতুন ব্যাখ্যা। পরিচালনায় রয়েছেন ভিক্টর লাকিসভ। স্ক্রিপ্ট লিখেছেন মার্ক ডিকার্লো ও রায়ান রো। ছবির কাহিনি ভিত্তি পেয়েছে ১৮৮৩ সালে কার্লো কোল্লোডি রচিত ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব পিনোকিও’ বই থেকে।
ছবির গল্প অনুযায়ী, পিনোকিও ও তার সঙ্গী কুট মিলে রুখে দাঁড়ায় এক ভয়ঙ্কর ভিলেন ফাউস্টিনোর বিরুদ্ধে, যে প্রতিদিন রাতে পেইড-লাইভস্ট্রিমে পুতুলদের ধ্বংস করে মুনাফা কামায়।
এ বিষয়ে ইয়োনাস বলেন, “পিনোকিওর কণ্ঠ দেওয়া ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা। অ্যানিমেশনটি একদম অনন্য। ভিক্টর একজন সত্যিকারের শিল্পী। প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হতে পারাও আমার জন্য অনেক বড় সম্মান।”
এই সিনেমায় ইয়োনাসের সঙ্গে আরও কণ্ঠ দিয়েছেন জেমস হং, ফ্রেড টাটাসিওরে, রব পলসেন, মরিস লা মার্চ, টম কেনি, ফিল লামার, ক্যান্ডি মিলো এবং ইয়েনি আলভারেজ।
বর্তমানে ছবিটি পোস্ট-প্রোডাকশনে রয়েছে এবং ২০২৫ সালে এটি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিবেশনায় রয়েছে অ্যাসিমেট্রিক স্টুডিওস।
এর আগে ‘এলিও’ ছবিতে একজন ছেলের চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন ইয়োনাস। ছেলেটির স্বপ্ন ছিল এলিয়েনদের মাধ্যমে পৃথিবীতে নতুন কিছু ঘটানো, যা একসময় বাস্তবেও রূপ নেয়। যদিও বক্স অফিসে ছবিটির পারফরম্যান্স ছিল নরম, তবে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এছাড়া, ইয়োনাস কিবরেয়াবকে দেখা গেছে ‘সুইটটুথ’ এবং ‘ওবি-ওয়ান কেনোবি’ সিরিজেও।
নতুন সিনেমা প্রসঙ্গে ইয়োনাস বলেন, “এই প্রজেক্টটি আমার খুব কাছের। এর মান ও আবেগ অনেকটা ‘এলিও’র মতো হলেও, এখানে এক অন্যরকম জাদু আছে। আমি গর্বিত যে এই ছবিটি জীবন্ত করে তুলতে পারছি।”