চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য সপ্তাহান্তে জমজমাট বক্স অফিস লড়াই। একদিকে রয়েছে ব্র্যাড পিটের উচ্চগতির রেসিং সিনেমা ‘F1’, অন্যদিকে ভয়ের নতুন অধ্যায় নিয়ে ফিরছে হরর সিক্যুয়েল ‘M3GAN 2.0’।
বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অ্যাপল অরিজিনাল ফিল্ম প্রযোজিত ‘F1’ যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলারের উদ্বোধনী আয় করতে পারে। যদিও পরিবেশক ওয়ার্নার ব্রাদার্স একটু বেশি সতর্ক হয়ে ৩০ মিলিয়ন ডলারের আশেপাশে পূর্বাভাস দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী প্রথম সপ্তাহান্তে সিনেমাটির মোট আয়ের পরিমাণ ১১৫ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্মাণ ব্যয় আনুমানিক ২০০ মিলিয়ন ডলার।
ব্র্যাড পিটের সঙ্গে ছবিতে আরও রয়েছেন দ্যামসন ইদ্রিস ও হাভিয়ের বারডেম। পরিচালনায় আছেন ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ খ্যাত জোসেফ কোসিনস্কি এবং সংগীত পরিচালনায় আছেন প্রখ্যাত হ্যান্স জিমার।
ফর্মুলা ওয়ান স্পোর্টস জগতের সবচেয়ে গ্ল্যামারাস ও ঝুঁকিপূর্ণ রেসিং প্রতিযোগিতা হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এটি এখনও বড় মূলধারার খেলা নয়। তবে জনপ্রিয়তা বাড়ছে ‘ড্রাইভ টু সারভাইভ’ নেটফ্লিক্স সিরিজের কারণে।
‘F1’ ছবিতে পিট অভিনয় করছেন এক প্রাক্তন রেসার হিসেবে, যিনি চোট থেকে ফিরে নতুন এক তরুণ চালকের সঙ্গে আবার ট্র্যাকে ফেরেন। এই স্পোর্টস ড্রামা শুধু অ্যাকশনে ভরপুর নয়, এতে রয়েছে আবেগ ও মানসিক দৃঢ়তার মিশেল।
অন্যদিকে, ইউনিভার্সালের হরর সিক্যুয়েল ‘M3GAN 2.0’ নিয়ে আশা কম। প্রথম ছবিটি যেখানে উদ্বোধনী সপ্তাহে ৩০.৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল, সেখানে এবারের সিক্যুয়েলের আয়ের পূর্বাভাস ২০ মিলিয়নের আশেপাশে।
M3GAN 2.0 ছবির কাহিনি গড়িয়েছে দুই বছর পর, যেখানে আগের সেই ভয়ংকর AI পুতুল আবার ফিরে আসে আরেক বিপজ্জনক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্ভব ঠেকাতে।
পরিচালক জেরার্ড জনস্টোন ও লেখক আকেলা কুপার এই সিক্যুয়েলেও কাজ করেছেন। ছবিতে থাকছেন অ্যালিসন উইলিয়ামস, ভায়োলেট ম্যাকগ্রো ছাড়াও নতুনভাবে যুক্ত হয়েছেন জার্মেইন ক্লেমেন্ট, অ্যারিস্টটল আথারি ও টিম শার্প।
মাত্র ১৫ মিলিয়ন ডলারে তৈরি এই হরর ফিল্মটি আয় কম হলেও মুনাফা অর্জনে সফল হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সপ্তাহান্তে দুই ভিন্ন ঘরানার ছবি ‘F1’ ও ‘M3GAN 2.0’ দর্শকদের মধ্যে আলাদা প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে নিশ্চিত। অ্যাপলের থিয়েটারিক্যাল ফিউচারের জন্য ‘F1’ হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
