হাইস্কুল-ভিত্তিক চরিত্রে দীর্ঘদিন কাজ করার পর এবার নিজের অভিনয় পরিধিকে আরও বিস্তৃত করতে চান ম্যাট করনেট। ২৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা সম্প্রতি ‘সামার অব ৬৯’ নামের একটি কৌতুকধর্মী কিন্তু আবেগঘন চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন, যা পরিচালনা করেছেন অভিনেত্রী জিলিয়ান বেল।
ছবিতে করনেট অভিনয় করেছেন ‘ম্যাক্স’ চরিত্রে, যাকে কেন্দ্র করেই আবির্ভাব ঘটে প্রধান চরিত্র অ্যাবির জীবনে একটি নতুন আবেগের।
জিলিয়ান বেলের পরিচালনায় মুগ্ধ করনেট
দ্য হলিউড রিপোর্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করনেট বলেন, “জিলিয়ান বেল যেন শত চলচ্চিত্র পরিচালনা করে ফেলেছেন, এমনটাই মনে হয়েছে। অথচ এটি তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি।”
তিনি জানান, ছবির সেটে ছিল উষ্ণতা ও স্বস্তির পরিবেশ। এমন পরিবেশে কাজ করতে পেরে প্রতিটি অভিনেতাই নিজেদের সেরা কাজটা তুলে ধরতে পেরেছেন। জিলিয়ানের পরিকল্পনা, সংলাপ বোঝানোর ভঙ্গি ও অভিনেতাদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব ‘একজন অভিনেতার পরিচালক’ হওয়ার প্রমাণ দিয়েছে।
ছবির গল্প ও দর্শকদের সাড়া
‘সামার অব ৬৯’ একটি যুগল ‘কামিং-অব-এজ’ গল্প। অ্যাবি এবং সান্তা মনিকার জীবন ভিন্ন হলেও, তাদের অভিজ্ঞতা একে অপরকে শেখায় কিছু মূল্যবান বিষয়। করনেট বলেন, “এই পারস্পরিক শেখার বিষয়টাই আমাকে প্রথমে টেনেছিল।”
ছবির ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দর্শকদের প্রশংসায় ভাসছে ছবিটি। করনেট জানান, “মানুষের ভালোবাসা পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এমন পরিশ্রমের ফল মানুষ যখন গ্রহণ করে, সেটা এক অন্যরকম তৃপ্তি।”
কিশোর চরিত্র ছাড়ার সময়
করনেট বলেন, “আমি এখন এমন একটা সময় পার করছি, যখন কিশোর চরিত্রের বাইরের নতুন কিছু করতে চাই। তবে যতদিন নিজেকে তরুণ অনুভব করব, ততদিন এসব চরিত্রেও অভিনয় করতে পারব।”
তিনি এখন আরও পরিণত ও গভীর চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যুদ্ধ বা সামরিক প্রেক্ষাপটের সিনেমায় কাজ করতে চান তিনি। করনেটের মতে, “যুদ্ধ বা সেনাবাহিনীর গল্পে একজন মানুষের মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তনের জায়গাগুলো আবিষ্কারের সুযোগ থাকে।”
সব ধরনের চরিত্রে আগ্রহ
যদিও করনেট নিজেকে নির্দিষ্ট ঘরানার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। তিনি বলেন, “আমি সব ধরনের স্ক্রিপ্ট দেখতে চাই। কখন কোন চরিত্র মন ছুঁয়ে যাবে, তা আগে থেকে বলা যায় না।”
একটি সাম্প্রতিক স্ক্রিপ্ট নিয়ে তিনি বলেন, “প্রথমে শুনে আগ্রহ না জাগলেও পড়ার পর চরিত্রটি ভালো লেগে যায়। তখনই বুঝি, কখনও কখনও গল্পের ভেতরেই মুগ্ধতা লুকিয়ে থাকে।”
একটি ধীর পরিবর্তনের গল্প
‘সামার অব ৬৯’ ছবির মতো করনেট নিজেও এক রূপান্তরের পথে রয়েছেন। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এখনই পুরোপুরি স্পষ্ট না হলেও, তিনি জানেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে গুছিয়ে নিতে হবে।
তার ভাষায়, “আমার ক্যারিয়ারের গতিপথ ঠিক করে নেওয়া সহজ নয়, তবে ছবিটাও শেখায় যে সবকিছু একবারে ঠিক করে ফেলতে হবে না।”
