তরুণদের জন্য চাকরির সুযোগ বাড়ানো ও সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “চাকরি নিয়ে হতাশা এবং অসমতা থেকেই জুলাই মাসের আন্দোলনের জন্ম হয়েছে। কোটা সংস্কার ছিল সেই আন্দোলনের মূল দাবি। এখন সময় এসেছে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নেওয়ার।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখনও এমন পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি, যেখানে তরুণরা উদ্যোক্তা হতে পারে বা সহজে কর্মসংস্থান পায়। চাকরির অভাব সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।”
সাকি জানান, ১৯৯২ ও ১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া অনেক তরুণ করোনার সময় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। কিন্তু ৩২ বছর বয়সসীমার নতুন নিয়মেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাই মানবিক বিবেচনায় অন্তত একবার তাদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, “পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রিফর্ম কমিশন সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করেছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তরুণদের জন্য সাম্য ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
এ সময় তিনি ছাত্রদের প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় দরকার বলেও উল্লেখ করেন।
চাকরির বয়সসীমা ও চাকরি প্রাপ্তির সুযোগ বাড়ানোর এই দাবি নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে, বিশেষ করে কোভিড-পরবর্তী বাস্তবতায় হাজারো তরুণ চাকরির বাজার থেকে ছিটকে পড়েছেন। এমন বাস্তবতায়, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয় কি না, তা এখন দেখার বিষয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।