নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র, ডেমোক্র্যাটিক সমাজতন্ত্রী জোহরান মামদানি বুধবার বলেছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় ইস্যুতে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে রাজনীতির প্রান্তিক অবস্থা থেকে উঠে এসে মেয়র নির্বাচনে জয় পাওয়া এই মুসলিম-আমেরিকান আইনপ্রণেতা বলেন, “হোয়াইট হাউস এখনো আমাকে অভিনন্দন জানায়নি,”—বলেন তিনি রসিক ভঙ্গিতে।
তিনি যোগ করেন, “নিউইয়র্কবাসীর সেবায় আমরা কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি, সে বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ আমার আছে। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়ে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের দিকটি এর অংশ হতে পারে।”
মামদানি ও ট্রাম্প উভয়েই নির্বাচনী প্রচারে জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্যকে প্রধান ইস্যু হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। এই ইস্যুতেই মামদানি সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে পরাজিত করেন।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, প্রেসিডেন্টের শেখার বিষয় হলো—শ্রমজীবী আমেরিকানদের জীবনের সংকট শুধু চিহ্নিত করলেই হবে না, সেটি সমাধানও করতে হবে।”
মামদানি ট্রাম্পকে সমালোচনা করে বলেন, “খাদ্যদ্রব্যের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েও তিনি অফিসে থেকেই খাদ্য সহায়তা স্থগিতের চেষ্টা করেছিলেন।”
বিনামূল্যে বাস ভ্রমণ, ভাড়া নিয়ন্ত্রণ এবং শিশু যত্নসেবা চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয়ী মামদানি বলেন, “দেশজুড়ে রিপাবলিকানদের ভয় হচ্ছে, আমরা সত্যিই এই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করব।”
বুধবার মামদানি তার ট্রানজিশন টিমের পাঁচ নারী সহ-সভাপতির নাম ঘোষণা করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন লিনা খান, যিনি জো বাইডেন প্রশাসনে ফেডারেল ট্রেড কমিশনের চেয়ার, এবং মারিয়া টরেস-স্প্রিংগার, যিনি বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামসের ট্রাম্প-সম্পৃক্ততার কারণে উপমেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
