ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গাজায় যুদ্ধবিরতিকে “অসাধারণ” বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং এটিকে বিশ্বে শান্তির নতুন আশার বার্তা হিসেবে দেখছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একইভাবে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
সোমবার সামাজিক মাধ্যমে জেলেনস্কি বলেন, “যখন বিশ্বের কোনো অংশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তা অন্য অঞ্চলেও শান্তির আশা বাড়ায়।”
তিনি আরও লেখেন, “যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়, তাহলে একই নেতৃত্ব ও বিশ্বশক্তির দৃঢ়তা ইউক্রেনের জন্যও কাজ করতে পারে।”
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ চালায়, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাতে রূপ নেয়। এ পর্যন্ত হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে, লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকা ধ্বংস হয়েছে।
ট্রাম্প পূর্বে দাবি করেছিলেন যে তিনি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারেন। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক ও আলোচনার পরও শান্তিচুক্তির কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
রাশিয়া একাধিকবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কঠোর শর্ত দিয়েছে, যা মূলত ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণের আহ্বান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: গাজা যুদ্ধের অবসান চুক্তি চূড়ান্তে শার্ম আল শেখে বৈঠকে যোগ দেবেন মাহমুদ আব্বাস
সম্প্রতি ট্রাম্প পুতিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি চান ইউক্রেন যেন রাশিয়ার দখলে থাকা প্রতিটি ইঞ্চি ভূমি পুনরুদ্ধার করে। বর্তমানে রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের প্রায় পাঁচভাগের একভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে, যার মধ্যে ২০১৪ সালে সংযুক্ত ক্রিমিয়া উপদ্বীপও রয়েছে।
এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জও ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধবিরতিতে যে প্রভাব তিনি রেখেছেন, তা যেন ইউক্রেন সংকট সমাধানে কাজে লাগান।
মিশরে অনুষ্ঠিত বিশ্বনেতাদের সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে মের্জ বলেন, “আমরা আশা করি, মধ্যপ্রাচ্যে যেভাবে ট্রাম্প প্রভাব রেখেছেন, তেমনভাবেই তিনি এখন রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যুক্ত হবেন।”
তিনি আরও জানান, সম্মেলনে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করবেন।