ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ ইউরোপীয় নেতারা বৃহস্পতিবার প্যারিসে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিযুক্ত শান্তি আলোচনার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফও অংশ নেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যতে সামরিক সহায়তার পরিকল্পনা।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি সের্হি নিকিফোরভ জানান, বৈঠকটি ছিল ঘনিষ্ঠ কক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত। এতে ইউক্রেনের জন্য একটি নিরাপত্তা কাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়, যাতে যুদ্ধবিরতির পর রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয়া যায়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের কার্যালয় জানায়, তিনি বৈঠকে জোর দিয়ে বলেছেন যে, ইউক্রেনের প্রতি এই জোটের প্রতিশ্রুতি অটুট এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপের মুখে ফেলতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। বৈঠকে ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, ইউক্রেনের ২৬ মিত্র দেশ যুদ্ধবিরতির পর একটি “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বাহিনী” মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব দেশ স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথে উপস্থিতি বজায় রেখে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
ম্যাক্রোঁ বলেন, প্রস্তুতিমূলক কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন রাজনৈতিক পর্যায়ে অনুমোদনের প্রয়োজন। তিনি যোগ করেন, “আমরা ইউরোপীয়রা প্রস্তুত আছি ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে, যেদিন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।”
তবে কোন দেশ কী পরিমাণে অবদান রাখবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। বিশেষ করে স্থলবাহিনী মোতায়েন নিয়ে মিত্র দেশগুলোর অবস্থান এখনও অনিশ্চিত।