জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদ্যমান সন্দেহ দূর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জাইনুল আবেদিন ফারুক। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিকশিত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফারুক বলেন, “নির্বাচন হবে কি হবে না, এ নিয়ে কারা সন্দেহ তৈরি করছে? সরকার কেন নীরব দর্শকের মতো বসে আছে? আপনারা কি জানেন না মন্ত্রণালয়ে কারা বসে আছে, কে মিছিল করছে, কারা দেশজুড়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে? এগুলো সরকার জানে।”
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ভয় না পেয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ জনগণের আন্দোলন ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে তাকে এই দায়িত্বে আনা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের ভেতরে ও দেশের বাইরে কিছু গোষ্ঠী নির্বাচনকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি দাবি করেন, কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে বসে কিছু শক্তি গোপন এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। এ অবস্থায় অবিলম্বে নির্বাচন বানচালের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
ফারুক বলেন, “যদি তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়, তবে জনগণের মধ্যে আর কোনো সন্দেহ থাকবে না।”
ভারতের দিক থেকে জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানের সাফল্যকে খাটো করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে জামায়াতের নাম উল্লেখ না করে বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল ভিন্ন ভাষায় নির্বাচনের বিরোধিতা করছে, আবার মসজিদের মতো ধর্মীয় স্থানে প্রচারণা চালাচ্ছে।
মোহাম্মদপুরের একটি উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এক ইমাম দাবি করেছিলেন তিনি একটি দলের প্রতিনিধি। কিন্তু উপস্থিত এক তরুণ তাকে চ্যালেঞ্জ করেন যে, মসজিদে প্রচারণা চালিয়ে একই সঙ্গে নির্বাচন ভয় দেখানো দ্বিচারিতা।
ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফারুক শিক্ষার্থীদের ভোটে অংশ নিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত থেকে নানা দমন-পীড়নের মধ্যেও টিকে আছে।”
তিনি স্মরণ করেন, অতীতে আন্দোলনের সময় ছাত্রদল নেতারা আহত হয়েছিলেন। সেই ত্যাগ থেকে প্রেরণা নিয়ে ছাত্রদল মঙ্গলবারের ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
সভায় ফারুক আহ্বান জানান, সরকার যেন ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করে এবং শিক্ষার্থীরা জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাস রেখে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।