প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ১০ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন। এই সফরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর। এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।”
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ৯ জুন ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরবেন। সফরকালে প্রফেসর ইউনূস কিং চার্লস তৃতীয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য সফরের আগে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
এই সফরে প্রফেসর ইউনূসকে ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করবেন ব্রিটিশ রাজা। এটি আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ একটি স্বীকৃতি।
অর্থপাচার ইস্যু এই সফরের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি জানিয়েছেন, “প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ ফিরিয়ে আনতে জোর তৎপরতা চালাবেন।”
সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, আগের শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। এই অর্থ ফেরত আনার জন্য যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: গুমের ইতিহাস সংরক্ষণে ‘হরর মিউজিয়াম’ চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে কিনা—এই প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত সূচিতে এমন কোনো বৈঠকের তথ্য নেই।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের ও বহুমাত্রিক। এই সফর সেই সম্পর্ককে আরও সম্প্রসারিত করতে সহায়ক হবে।”
