ঢাকার স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনার শিকারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কার্যকর ব্যবস্থা, সেই ঘটনার সমস্ত তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে জাতিসংঘের মাধ্যমে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম সমাবেশে হামলার ঘটনার তদন্ত চালানোর বিষয়টিও আলোচিত হয়।
এছাড়াও, পূর্ববর্তী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে হেফাজত নেতাকর্মী ও ইসলামি আলেমদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা— মাওলানা খলিল আহমদ কোরেশী, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মুফতি জাসিম উদ্দিন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি বশির উল্লাহ এবং মুফতি কেফায়তুল্লাহ আজহারী।
সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা এএফএম খালিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফৌজুল কবির খান এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বৈঠকে উভয় পক্ষ দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও ভবিষ্যৎ সহনশীলতা বজায় রাখার ব্যাপারে মতবিনিময় করেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শাপলা চত্বরের মতো ঐতিহাসিক ঘটনার পুনর্মূল্যায়ন ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।