Sunday, June 22, 2025
Homeজাতীয়যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে ইউনূসের বিরুদ্ধে সমালোচনা, ক্ষমতার প্রদর্শন নয় কি প্রশ্ন বিশ্লেষকদের

যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে ইউনূসের বিরুদ্ধে সমালোচনা, ক্ষমতার প্রদর্শন নয় কি প্রশ্ন বিশ্লেষকদের

এক বছরে ১১তম বিদেশ সফর ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অগ্রাধিকার নিয়ে

নোবেল বিজয়ী ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চলমান যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে নতুন করে সমালোচনা উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরের মূল লক্ষ্য দেশের জন্য সংস্কার প্রক্রিয়া নয় বরং ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক অবস্থানকে মজবুত করা।

এক ফেসবুক পোস্টে বিশিষ্ট রাজনৈতিক ভাষ্যকার বাবর হানি দাবি করেছেন, গত ১০ মাসে এটি ইউনূসের ১১তম বিদেশ সফর। তাঁর মতে, বর্তমান সফরের পেছনে কূটনৈতিক প্রয়োজনের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে নিজস্ব ভাবমূর্তি তৈরি ও আন্তর্জাতিক মহলে নিজেকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা।

পোস্টে বলা হয়েছে, ইউনূস এই সফরে ব্রিটেনের রাজা চার্লস তৃতীয়, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করেছেন।

বাবর হানির ভাষ্য, ‘‘রাজা চার্লসের সঙ্গে বৈঠক মূলত প্রতীকী। তিনি ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন, কিছু ছবি তুলবেন এবং দেশে শিরোনাম দখল করবেন।’’

তিনি আরও বলেন, সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবেই নয়, বরং আরও স্থায়ী রাজনৈতিক চরিত্র হিসেবে তুলে ধরা।

এছাড়া, কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকেও কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাবর হানি। তাঁর মতে, বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাওয়া হতে পারে।

সর্বাধিক সংবেদনশীল অংশ হিসেবে ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠককে চিহ্নিত করেছেন তিনি। পোস্টে বলা হয়, এই বৈঠকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।

আরও পড়ুন: লন্ডনে প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে এয়ারবাস ও মেনজিস এভিয়েশনের শীর্ষ নির্বাহীদের বৈঠক

বাবর হানি তাঁর পোস্টে তিনটি সম্ভাব্য ফলাফলের কথা উল্লেখ করেছেন।

  • বৈঠক ফলপ্রসূ না হয়ে কেবল আনুষ্ঠানিক ছবি তোলায় সীমাবদ্ধ থাকবে। এরপর ইউনূস সমর্থিত পক্ষগুলোর সঙ্গে বিএনপি-জোটের মধ্যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।
  • তারেক রহমান সম্পূর্ণরূপে ইউনূসের প্রস্তাবিত রূপরেখা মেনে নেবেন।
  • ইউনূস নির্বাচন এগিয়ে এনে আগামী ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেবেন এবং সীমিত পরিসরে সংস্কার কার্যক্রম চালাবেন।

এই তিনটির মধ্যে বাবর হানি সবচেয়ে সম্ভাব্য হিসেবে প্রথম বিকল্পটিকেই উল্লেখ করেছেন।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এখনো এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইউনূসের রাজা চার্লস, প্রধানমন্ত্রী স্টারমার ও তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়েও স্বাধীনভাবে কোনো তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূসের ক্রমবর্ধমান বিদেশ সফর ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দিষ্ট সাংবিধানিক সীমারেখা থেকে এই ভূমিকা সরে যাচ্ছে।

RELATED NEWS

Latest News