ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৫, ২৩:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নতুন অধ্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “এই বন্দরই দেশের অর্থনীতির মূল ভরসা। উন্নয়ন চাইলে বন্দরের পথকে উন্মুক্ত করতে হবে।”
বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার নেতারা।
ড. ইউনূস বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। হৃৎপিণ্ড দুর্বল হলে শরীর চলতে পারে না। বন্দরের অগ্রগতি থেমে থাকলে উন্নয়নও থেমে যাবে। অথচ এই বন্দরের উন্নয়ন অনেকটাই শ্লথ। যানজট, অব্যবস্থাপনা, পণ্য খালাসে জটিলতা—এসব সমস্যা বছরের পর বছর ধরে চলছে।”
সরকার প্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রামে সফরে এসে ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
এদিন সকালে বন্দর পরিদর্শনের পর তিনি সার্কিট হাউসে যান এবং কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। পরে চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য ২৩ একর জমির দলিল হস্তান্তর করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
দুপুরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ২২ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান এবং ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। এ সময় ক্ষুদ্রঋণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানের জন্য চবির পক্ষ থেকে ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি দেওয়া হয়।
সফরের শেষ পর্যায়ে তিনি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে নিজের পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করেন। সেখানে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন।
সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চট্টগ্রাম সফর ছিল তাৎপর্যপূর্ণ ও কর্মব্যস্ততায় ভরপুর। তার বক্তব্য ও নির্দেশনা আগামী দিনগুলোতে দেশের অর্থনীতির নতুন রূপরেখা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।