স্বামীর দূরত্ব ও শ্বাশুড়ির চাপেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে দাবি পরিবারের
পারিবারিক চাপ, শ্বাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং স্বামীর নিরুত্তর আচরণ—এই সব মিলিয়ে এক তরুণীর মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তার ঘনিষ্ঠজনেরা। আত্মহত্যার আগেও ওই তরুণী একাধিকবার মানসিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আত্মীয় জানান, মাত্র কয়েকদিন আগেই স্বামী পলাশ তাকে বলেছিলেন, “আমার মা তোমাকে সহ্য করতে পারে না। তুমি বাবার বাড়িতে থেকে যাও, সব খরচ আমি চালাবো।” তরুণী সুস্মিতা এই ধরনের কথা শুনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
সূত্র মতে, বাচ্চা নেওয়ার বিষয়েও কথা হয়েছিল। পলাশ নাকি জানিয়ে দেন যে তিনি সন্তান চান, কিন্তু মায়ের কারণে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। এমনকি একদিন রাতে কান্নাকাটি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সুস্মিতা।
আরও অভিযোগ রয়েছে, একদিন ডাল রান্না করে শুধু প্রশংসা পাওয়াতেই শ্বাশুড়ি তার সামনে গামলা ফেলে দেন এবং অপমানজনক কথা বলেন। এই ঘটনাগুলোর ধারাবাহিকতায় তার মানসিক অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়ে বলে দাবি পরিবারের।
একটি সূত্র জানায়, মৃত্যুর আগের দিন সুস্মিতা ফোনে স্বাভাবিক ছিলেন না। পরদিন তার ফোন বন্ধ পেয়ে আত্মীয়রা উদ্বিগ্ন হন।
এই ঘটনাটি তদন্তাধীন। পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দি ও ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী পুলিশ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।