ঢাকায় উদযাপিত ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি নতুনভাবে সংযুক্ত হবে যোগব্যায়ামের মাধ্যমে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যোগব্যায়াম দুই দেশের মানুষের সুস্থতা ও ঐক্যের নতুন বন্ধন তৈরি করবে।
শনিবার আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, “আমরা যখন এই বছরের আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করছি, তখন আমাদের মনে পড়ছে দুই দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভাগ করা ত্যাগ এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক।”
ভার্মা জানান, যোগব্যায়াম আজ বিশ্বব্যাপী কোটি মানুষের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। “এটি সীমান্ত, সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের সীমারেখা ছাপিয়ে একটি অভিন্ন বন্ধনে মানুষকে যুক্ত করেছে,” তিনি বলেন।
এ বছরের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল “Yoga for One Earth, One Health”, যার মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুস্থতা ও বৈশ্বিক টেকসইতার মধ্যে যোগব্যায়ামের সেতুবন্ধন তুলে ধরা হয়।
ভারতীয় হাইকমিশন ও ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (IGCC) এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ছয়টি শীর্ষস্থানীয় যোগপ্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তাঁরা সাধারণ যোগ প্রোটোকল অনুসরণে একটি প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করে।
ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক অ্যান ম্যারি জর্জ বলেন, “এটি আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের ১০ম বার্ষিকী। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতিসংঘে এ দিবস ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন এবং একই বছরের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ঘোষণা করে।”
অনুষ্ঠানে ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ যোগ অনুশীলনকারীদের বিশেষভাবে সম্মাননা জানানো হয়। যোগপ্রেমীদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নেন সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজন, শিল্পী, গণমাধ্যমকর্মী, পেশাজীবী, গবেষক ও বাংলাদেশের তরুণরা।
অনুষ্ঠানের পরিবেশ ছিল উদ্দীপনাময় ও আন্তরিক, যেখানে যোগব্যায়াম শুধু শরীরচর্চা নয় বরং সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্য ও মানুষের মধ্যে মিলনের প্রতীক হিসেবে চিত্রিত হয়।