ইলেকট্রনিক লাইন-কলে ভরসা রেখে উইম্বলডনে এবার থেকে পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে মানব বিচারকের ব্যবহার। তবে প্রযুক্তি ব্যবহারের এক সপ্তাহ না যেতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ব্রিটেনের শীর্ষ নারী টেনিস খেলোয়াড় এমা রাডুকানু শুক্রবার আর্যনা সাবালেঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ৭-৬ (৮/৬), ৬-৪ ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর একটি বিতর্কিত কল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রাডুকানু বলেন, “সেই বলটি নিশ্চিতভাবেই বাইরে ছিল। এত বড় টুর্নামেন্টে এমন ভুল কল সত্যিই হতাশাজনক।”
তিনি আরও জানান, আগের ম্যাচগুলিতেও এমন কয়েকটি সিদ্ধান্ত তাকে হতবাক করেছে। “আশা করি ভবিষ্যতে এই সমস্যা সমাধান করা হবে,” বলেন সাবেক ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন।
পুরুষ এককে চতুর্থ বাছাই জ্যাক ড্রেপারও বৃহস্পতিবার মারিন চিলিচের বিপক্ষে পরাজয়ের পর প্রযুক্তির নির্ভুলতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি না এটা ১০০ শতাংশ সঠিক। কোর্টে যে চিহ্ন দেখানো হয়েছিল, সেটিতে চক ওঠারই কথা ছিল না। এটা প্রশ্ন তুলছে।”
তবে আয়োজকরা প্রযুক্তির পক্ষে রয়ে গেছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “লাইভ ইলেকট্রনিক লাইন কল প্রযুক্তি এখন নিয়মিতভাবে সারাবছর ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি একটি কঠোর যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুমোদিত এবং সর্বোচ্চ নির্ভুলতা নিশ্চিত করতেই আমরা এটি ব্যবহার করছি।”
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ইউএস ওপেন পুরোপুরি ইলেকট্রনিক লাইনে পরিচালিত হলেও, ফরাসি ওপেন এখনো মানব বিচারকের ওপর নির্ভর করে।
বিশ্ব টেনিসে প্রযুক্তির এই আধিপত্য গ্রহণযোগ্য হলেও, বড় মঞ্চে খেলোয়াড়দের প্রকাশ্য অসন্তোষ প্রমাণ করছে, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার হলেও নিখুঁত নির্ভরতার প্রশ্ন এখনো থেকেই যায়।
এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে, শুধুমাত্র প্রযুক্তি নয়, খেলোয়াড়দের আস্থা অর্জন করাও আধুনিক ক্রীড়া ব্যবস্থাপনায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।