যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্টের সমর্থকদের উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট।
শুক্রবার (২০ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখুন।” তিনি জানান, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র ছিল নিরাপদ।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো মনে করেন ইরানের সঙ্গে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আলোচনার কাঠামো ও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
ইরানের সরকার পরিবর্তন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার হলো— ইরান যেন কোনো অবস্থাতেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে।”
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত হওয়ার বিষয়ে লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে অংশ নেবে কি না।
তার ভাষায়, “ট্রাম্প বরাবরই কূটনৈতিক পথকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তবে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগে তিনি পিছপা হন না।”
হোয়াইট হাউসের এই মুখপাত্র জানান, ইরান এর আগে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির এত কাছাকাছি আসেনি। এই বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন উদ্বিগ্ন এবং ইসরায়েল-ইরান সংঘাত পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
ক্যারোলিন লেভিট আরও বলেন, ট্রাম্প ইতোমধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে গোপন গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন এবং তিনি নিয়মিতভাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিবৃতি ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা নীতির এক যৌথ চিত্র তুলে ধরছে। যদিও আলোচনার সুযোগ রাখা হয়েছে, তবে প্রয়োজনে প্রতিক্রিয়ার বিষয়েও বার্তা দেওয়া হয়েছে।