Wednesday, July 2, 2025
Homeঅর্থ-বাণিজ্যদুর্বল ছয় ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের

দুর্বল ছয় ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের

ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটে থাকা ছয়টি বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এই প্রক্রিয়া চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে।

চ্যানেল ২৪ প্রকাশিত ২৬ মে ২০২৫ তারিখের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে যেসব ব্যাংকের নাম উঠে এসেছে সেগুলো হলো সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।

এই ছয়টি ব্যাংকের মধ্যে চারটির পরিচালনা পর্ষদ চট্টগ্রামভিত্তিক আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এক্সিম ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন নজরুল ইসলাম মজুমদার।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ব্যাংকগুলোর সম্পদ ও আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনার কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে এই ব্যাংকগুলোকে সরকারি মালিকানায় নিয়ে প্রয়োজনীয় মূলধন যোগান দেওয়া হবে। এরপর এসব ব্যাংকে বিদেশি কৌশলগত বিনিয়োগকারী আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “এই উদ্যোগ গ্রাহকদের জন্য আস্থার বার্তা। সরকার সাময়িকভাবে ব্যাংকগুলোকে নিজের তত্ত্বাবধানে নেবে এবং পুনর্গঠনের পর আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

এর আগে ২০২৪ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের একীভূতকরণ উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংক খাত সংস্কারে নতুন করে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।

২০২৫ সালে জারি হওয়া ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যে কোনো দুর্বল তফসিলি ব্যাংককে সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে ব্যাংকগুলো পুনরুদ্ধারের পর গ্রাহকরা নিরাপদে তাদের জমা টাকাগুলো ফেরত পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন গভর্নর।

তিনি বলেন, “এটা ধাপে ধাপে হবে। এক বা দুই মাসে নয়, বরং পুরো প্রক্রিয়া তিন থেকে ছয় মাস সময় নিতে পারে। তবে গ্রাহকদের ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই।”

এই ঘোষণায় ব্যাংক খাতে অস্থিরতা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং গ্রাহকদের মধ্যেও আস্থা ফিরে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

RELATED NEWS

Latest News