দেশের নদনদীর পানির স্তর পর্যবেক্ষণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) জানিয়েছে, ৬৪টি নদীর পানির স্তর বেড়েছে এবং ৫৩টি নদীর স্তর কমেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সংস্থাটির জারি করা বুলেটিনে বলা হয়েছে, ১১৬টি পর্যবেক্ষণকৃত পয়েন্টের মধ্যে ২টি পয়েন্টে পানি স্তর অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে দেশের সব নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, গোমতী ও ফেনী নদীর পানির স্তর বাড়ছে। আগামী একদিন এসব নদীর অববাহিকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী দুই দিন সেখানে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এই নদীগুলোর পানি আগামী একদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং এরপর কমতে শুরু করতে পারে।
সোমেশ্বরী নদীর পানি বাড়লেও সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের শরিগোয়াইন, যাদুকাটা ও ভুগাই-কংশা নদীর পানি কমছে। সব নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে আছে।
তবে শরিগোয়াইন (সিলেট), যাদুকাটা (সুনামগঞ্জ) এবং সোমেশ্বরী (নেত্রকোনা) নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সতর্ক সীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
তিস্তা নদীর পানির স্তর বাড়ছে এবং এই প্রবণতা আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এটি এখনো বিপদসীমার নিচেই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুরমা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে। আগামী তিন দিন এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে বুলেটিনে বলা হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বাড়ছে, যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী পাঁচ দিন উভয় নদীর পানির স্তর বাড়তে পারে তবে তা বিপদসীমা অতিক্রম করবে না বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
গঙ্গা নদীর পানি বাড়ছে এবং পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল। দুই নদীর পানির স্তর আগামী পাঁচ দিন বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, বর্ষাকালে নদনদীর আচরণ ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যে চোখ রাখা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।