Sunday, June 22, 2025
Homeআন্তর্জাতিকওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসকর্মী হত্যা, ঘৃণাজনিত অপরাধে অভিযুক্ত সন্দেহভাজন

ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসকর্মী হত্যা, ঘৃণাজনিত অপরাধে অভিযুক্ত সন্দেহভাজন

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রথম ডিগ্রি হত্যা, বিদেশি কর্মকর্তাকে হত্যা এবং আগ্নেয়াস্ত্র আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবার রাতের এ ঘটনাকে ঘৃণাজনিত অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছে এফবিআই ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনাইন পিরো বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এটি মৃত্যুদণ্ডযোগ্য মামলা হলেও এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হবে কি না।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৮ মিনিটে ক্যাপিটাল জিউইশ মিউজিয়ামের বাইরে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া চারজনের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে নিহত হন ইসরায়েলি নাগরিক ইয়ারন লিশিনস্কি ও সারাহ লিন মিলগ্রিম। তারা দুজনই ইসরায়েলি দূতাবাসের স্টাফ ছিলেন।

ঘটনাস্থলেই গ্রেপ্তার করা হয় ৩০ বছর বয়সী এলিয়াস রদ্রিগেজ নামের এক ব্যক্তিকে, যিনি শিকাগোর বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, তিনি হামলার আগে জাদুঘরের বাইরে ঘোরাঘুরি করছিলেন এবং “ফ্রি প্যালেস্টাইন” বলে চিৎকার করেছিলেন।

এফবিআই কর্মকর্তারা বলেন, রদ্রিগেজ একদিন আগেই কর্মসংক্রান্ত এক সম্মেলনে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে এসেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ২০২৪ সাল থেকে শিকাগোর আমেরিকান অস্টিওপ্যাথিক ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনে প্রশাসনিক সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আদালতে বৃহস্পতিবার তাকে হাজির করা হলে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পরবর্তী শুনানি ১৮ জুন নির্ধারিত হয়েছে।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ইচিয়েল লেইটার জানান, নিহত লিশিনস্কি জেরুজালেমে এক সফরে মিলগ্রিমকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।

নিহত সারাহ মিলগ্রিম কানসাস সিটির বাসিন্দা ছিলেন। antisemitism নিয়ে তিনি পূর্বে বক্তব্য দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে তার স্কুলে নাৎসি স্বস্তিকা আঁকার ঘটনার পর তিনি স্থানীয় টেলিভিশনে বক্তব্য দেন।

ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে অভিহিত করেছেন এফবিআইয়ের কর্মকর্তা স্টিভ জেনসন। তিনি বলেন, “এটি একটি পরিকল্পিত সহিংসতা, যা ইহুদি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে করা হয়েছে।”

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। নেতানিয়াহু এটিকে “একটি ঘৃণাজনিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড” বলে উল্লেখ করেন এবং বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলি কূটনৈতিক মিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদারের ঘোষণা দেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে ঘৃণা ও উগ্রতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন।

ঘটনাটি ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে antisemitism এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সামাজিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।

RELATED NEWS

Latest News