ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : বিদেশ ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের পছন্দের তালিকায় একের পর এক দেশ তাদের ভিসা প্রক্রিয়া বন্ধ বা সীমিত করে দিচ্ছে। ভারতের ভিসা জুলাই মাস থেকে বন্ধ থাকায় অনেকেই চিকিৎসা ও অবসর ভ্রমণের জন্য মুখ ফিরিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের দিকে। কিন্তু সেখানে ভিসা পেতে বর্তমানে সময় লাগছে অন্তত ৪৫ দিন।
থাইল্যান্ড, বিশেষত পাতায়া, ফুকেট এবং ব্যাংককের রাতের জীবন দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশি পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। ভ্রমণ, হানিমুন কিংবা অবসর উদযাপনে এই দেশটি ছিল প্রথম পছন্দের তালিকায়। এখন এই ভিসা জটিলতায় ভ্রমণকারীদের পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
অন্যদিকে, দুবাই দীর্ঘদিন ধরেই বিলাসবহুল জীবনধারা, বুর্জ খলিফা, মরুভূমিতে ড্রাইভিং ও ব্যবসায়িক সভার জন্য বিখ্যাত গন্তব্য ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশিদের জন্য সাধারণ টুরিস্ট ভিসা বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও দিনে গড়ে ৩০ থেকে ৫০টি ভিসা ইস্যু হচ্ছে, সেখানে সাধারণ ভ্রমণকারীরা এর বাইরে থাকছেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেক জনপ্রিয় দেশ ভিয়েতনামেও বাংলাদেশিদের জন্য জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ভিসা বন্ধ রয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে অনেক বাংলাদেশি লাওস ও কম্বোডিয়া ঘুরে আসতেন, সেই সুযোগও এখন অনিশ্চিত।
ইন্দোনেশিয়ার অন-অ্যারাইভাল ক্যাটাগরির ভিসা আগে সহজলভ্য থাকলেও বর্তমানে সেখানে ভিসা পেতে সময় লাগছে দুই মাসেরও বেশি। একই পরিস্থিতি ফিলিপাইনেও, যেখানে আগে ১০ দিনে ভিসা মিলত, এখন তা দেড় মাসের কমে মিলছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সব কিছুর পেছনে মূল কারণ হচ্ছে ভিসার অপব্যবহার। কিছু বাংলাদেশি ভ্রমণের নামে অবৈধভাবে অবস্থান করায় বিভিন্ন দেশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। ফলে যারা সত্যিকার অর্থে ছুটি কাটাতে বা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান, তাদের পড়তে হচ্ছে বড় সমস্যায়।
সাধারণ ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এখন ভ্রমণের গন্তব্য নির্ধারণের আগে ভাবতে হচ্ছে, কোথায় যাওয়া সম্ভব আর কোথায় নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভিসা প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।