ঢাকার উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪৪ জনের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আহতদের আঘাতের ধরন অনুযায়ী তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৮ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন, ১৩ জন গুরুতর এবং বাকি ২৩ জন মাঝারি মাত্রার আঘাতে আক্রান্ত।
চিকিৎসা কার্যক্রমে সহায়তার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে আগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি মেডিকেল বোর্ড রোগীদের শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করছে এবং চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন আনার পরামর্শ দিচ্ছে।
বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “এখনো কোনো রোগীকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াও সম্ভব নয়। রোগীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সিঙ্গাপুর থেকে আগত মেডিকেল টিমটি ইতোমধ্যেই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমান বাহিনীর একটি FT-7 BGI যুদ্ধবিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এতে আগুন ধরে যায় এবং ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। আহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও শিক্ষার্থী।
এই দুর্ঘটনার পর থেকে চিকিৎসা ও উদ্ধার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো দ্রুত কাজ করে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ আহতদের সার্বিক সেবা নিশ্চিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে।