যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন সোমবার নিশ্চিত করেছে, মেক্সিকো, কোস্টারিকা ও জ্যামাইকা যোগ দিয়েছে তাদের ২০৩১ নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের যৌথ বিডে।
আগেই ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ঘোষণা করেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রই এককভাবে ৪৮ দল নিয়ে সম্প্রসারিত এই আসরের আয়োজক হতে যাচ্ছে। তবে নিউইয়র্কে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে জানানো হয়, কনকাকাফের সদস্য মেক্সিকো, কোস্টারিকা ও জ্যামাইকাও টুর্নামেন্টের ম্যাচ আয়োজন করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ফুটবল প্রেসিডেন্ট সিন্ডি পারলো কোনে বলেন, “আমরা গর্বিত যে কনকাকাফের অংশীদারদের সঙ্গে ২০৩১ নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের নেতৃত্ব দিচ্ছি। একসঙ্গে আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছি।”
এই যৌথ বিড আগামী মাসে ফিফার কাছে জমা দেওয়া হবে, এবং আনুষ্ঠানিক অনুমোদন মিলবে ২০২৬ সালের এপ্রিলে ভ্যাঙ্কুভারে ফিফা কংগ্রেসে।
ইনফান্তিনো এর আগেই জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে বিড করেছে, তবে “কিছু কনকাকাফ সদস্য দেশও যুক্ত হতে পারে।” তিনি আরও জানান, ২০৩৫ সালের নারী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাজ্যের চার দেশে — ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে।
কনকাকাফ প্রেসিডেন্ট ও ফিফার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টর মনটাগলিয়ানি বলেন, “আমাদের কনফেডারেশনের নারী ফুটবলের প্রতি প্রতিশ্রুতি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। ২০৩১ বিশ্বকাপ আয়োজন নারীদের খেলাকে আরও এগিয়ে নেবে এবং উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।”
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো মূলত ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজনে বিড করেছিল, তবে ব্রাজিলকে আয়োজক ঘোষণা করার আগে তারা নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয় ২০৩১ সালের আয়োজনের দিকে মনোযোগ দিতে।
উত্তর আমেরিকা এর আগে তিনবার নারী বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে— যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালে, আর কানাডা আয়োজন করে ২০১৫ সালে।
আগামী বছর পুরুষদের বিশ্বকাপও অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে, আর লস অ্যাঞ্জেলেসে ২০২৮ অলিম্পিক আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র।
পারলো কোনে বলেন, “নারী ফুটবল এখন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তায় আছে। আমাদের দুইটি প্রফেশনাল লিগ আছে, স্টেডিয়ামগুলো ভরে যায় দর্শকে, টিভি সম্প্রচারকারীরা রেকর্ড অর্থ দিচ্ছে।”
তিনি হাস্যরস করে বলেন, “আমরা একমাত্র বিডার, তাই আমাদের সম্ভাবনা খারাপ না!”
“যখন আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হব, তখন আমরা ফিফার সঙ্গে কাজ করব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী নারী ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের জন্য,” যোগ করেন তিনি।
জ্যামাইকা ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মাইকেল রিকেটস বলেন, “এটি আমাদের ছোট দেশের জন্য বিশাল অর্জন। বিশ্বকাপ ম্যাচ আয়োজন প্রতিটি জ্যামাইকানের জন্য গর্বের বিষয়।”