ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার বিষয়ে মন্তব্য করে হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্য জিম হাইমস বলেছেন, এটি ছিল একটি ‘বিপজ্জনক জুয়া’।
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাইমস জানান, “আমি এই হামলার খবর প্রথম জানি টুইটারে। একজন গোয়েন্দা কমিটির সদস্য হিসেবে এটি খুবই অস্বস্তিকর।”
তিনি বলেন, হামলার আগ পর্যন্ত কোনো গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে যাচ্ছে এমন কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি।
“গ্যাং অব এইট”-এর একজন সদস্য হিসেবে হাইমস জানান, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমন কোনো তথ্য তার হাতে নেই এবং এখনো পর্যন্ত এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই যা তা প্রমাণ করে।
যদিও তিনি স্বীকার করেন, হামলাগুলো ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, তবে এটি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংসে কতটা সফল হয়েছে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, “আমাদের কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই যে হামলাগুলো সফল হয়েছে কি না। যদি কেবল বড় ধরনের বিস্ফোরণ ও গর্ত খোঁজার বিষয় হয়, তবে সেটা নিশ্চয়ই হয়েছে। কিন্তু তাতে মূল লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কি না, সেটিই প্রশ্ন।”
জিম হাইমস আরও বলেন, ইরান হয়তো ইতিমধ্যেই ইউরেনিয়াম স্থানান্তর করেছে এবং হামলার ফলে একটি “রাগান্বিত বোলতার মতো” সরকারের জন্ম হতে পারে, যারা এখন বিশ্বাস করতে পারে যে আত্মরক্ষার একমাত্র উপায় পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করা।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে উল্লেখ করেন “একটি বিশাল ঝুঁকি” হিসেবে।
“এই সিদ্ধান্ত একটি বড় ধরনের জুয়া। আর যদি ইতিহাস আমাদের কিছু শেখায়, লিবিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক—তবে বলা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে এমন জুয়া খুব কমই প্রত্যাশিত বা কাঙ্ক্ষিত ফল দেয়,” বলেন হাইমস।
এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির ওপর আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আরও অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে।
